শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের “এপিএস” পরিচয় দিয়ে প্রতারণা

আইন-অপরাধ চট্টগ্রাম সারাদেশ
শেয়ার করুন...

রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রাম থেকেঃ চট্টগ্রাম নগরীতে শিহাব নামে এক প্রতারক নিজেকে পরিচয় দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের ‘এপিএস’ হিসেবে। কখনো তিনি প্রতিশ্রুতি দেন বিদেশ চাকরি পাইয়ে দেওয়ার। আবার কখনো তিনি ‘কন্ট্রাক্ট’ নেন আসামিকে জামিনে মুক্ত করার। এভাবেই উপমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে তিনি বিভিন্নজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন টাকা।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি প্রতারক মো. শিহাব উদ্দিন সিদ্দিকী ওরফে রিহান শিহাবের (২৬)। তাকে রিয়াজউদ্দিন বাজারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শিক্ষা উপমন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে তাসলিমা সাখাওয়াত নামে এক নারী থেকে দুই লাখ টাকা নেন শিহাব। কথা ছিল— এই টাকার বিনিময়ে তিনি কারাবন্দি তাসলিমার স্বামীকে জামিনে মুক্ত করবেন। কিন্তু এই টাকা আত্মসাৎ করেন শিহাব। এ অবস্থায় শিহাবের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করে তাসলিমা।
এদিকে নয়ন নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গেও প্রতারণা করেন শিহার। কাতারে চাকরি দেওয়ার নামে ২০১৮ সালে তিনি নয়নের পাসপোর্টের ফটোকপি নেন। এরপর সেই পাসপোর্টের ফটোকপি দিয়ে চলে প্রতারণা।
নয়নের কাছে কখনো ফোন আসতে থাকে স্টেশন রোডের মোটেল সৈকত থেকে, আবার কখনো পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লু থেকে। সবাই নয়নের কাছ থেকে হোটেলে থাকা-খাওয়ার বিলের বকেয়া টাকা দাবি করেন।
পরে নয়ন জানতে পারেন তাঁর পাসপোর্টের ফটোকপি দিয়েই গত ২৮ জুলাই রেডিসনে রুম বুকিং নেন শিহাব। একদিন সেখানে অবস্থান করেন ‘নয়ন’ নামে। এ কারণে নয়নের নামে আসে ২৫ হাজার টাকার বিল!
এর আগে মোটেল সৈকতেও অভিন্ন প্রতারণা করেন শিহাব। হোটেলে থেকে আরাম-আয়েশ শিহাব করলেও ১১ হাজার টাকার বিল আসে নয়নের নামে।
কোতোয়ালী থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, শিহাব ভয়ঙ্কর প্রতারক। সে একেক সময় একেক জনের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করে। এর আগেও তাকে একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু জেল থেকে বেরিয়ে সে আবারও প্রতারণায় জড়িয়ে পড়ে।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *