শাল্লায় সাংবাদিকের উপর হামলা প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

আইন-অপরাধ আরো তথ্য প্রযুক্তি পরিবেশ সারাদেশ
শেয়ার করুন...

তৌফিকুর রহমান তাহের,দিরাই-শাল্লা প্রতিনিধি ::
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্বপালন করতে গিয়ে শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপন তালুকদারের উপর সন্ত্রাসী হামলার হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনায় সন্দীপন তালুকদার বাদী হয়ে ১নং আটগাঁও ইউনিয়েনের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামসহ ১২জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০জনকে আসামি করে ৯জানুয়ারি থানায় অভিযোগ করেন। সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাব। ৯জানুয়ারি দুপুর ১২টায় উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত সেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মণিকা রাণী দাশের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সদস্য বাদল চন্দ্র দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী বদরুজ্জামান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তৌফিকুর রহমান তাহের, প্রচার সম্পাদক প্রীতম দাশ, দপ্তর সম্পাদক চিন্ময় দাশ, অ্যাডভোকেট রাহুল চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রান্টুলাল দাস ও সুলতান মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন সাংবাদিকরা দেশের সম্পদ, সত্য উন্মোচন করাই সাংবাদিকদের কাজ। কিন্তু সমাজের কিছু প্রভাবশালী লোক নিরীহ মানুষের পাশে থাকার পরিবর্তে তাদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে চায়। সাংবাদিকরা তা তুলে ধরেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের নির্জাপুর ভোট কেন্দ্রে কয়েকজন ভোটারকে ভোট প্রদানে বাধা দেয় একপক্ষের সমর্থকরা। সাংবাদিকদের কাছে সেই ভোটাররা এসে তা বলায় সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আটগাঁও ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তার অর্ধশত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক সাংবাদিক সাংবাদিক সন্দীপন তালুকদারকে পিটিয়ে আহত করে। তার সাথে থাকা অন্য আরেক সহকর্মী প্রীতম দাশ দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। আমরা এমন বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার বিচার চাই। সাংবাদিক সন্দীপন তালুকদার এখনও শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কিন্তু পুলিশের নিরবতায় আমরা উদ্বিগ্ন। পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিকেরা। মানববন্ধনে সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

এবিষয়ে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে কিছুই বলতে রাজি হননি। তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দিরাই সার্কেল) শহীদুল হক মুন্সি মুঠোফোনে বলেন অভিযোগ করা হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

image_pdfimage_print

শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.