রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রাম থেকেঃ
চট্টগ্রামে সংরক্ষিত নারী আসন-৪৯ এর সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী নেত্রী সাবেক এম পি সাবিহা নাহার বেগম সি আর বি প্রসংগে এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন।
বিশ্বমানের বন্দর পৃথিবীর ২য় সর্ববৃহৎ সমুদ্র হওয়া সত্বেও চট্টগ্রাম নগরীতে প্রতিনিয়ত সবুজ যেন হারিয়ে যাচ্ছে। বাসযোগ্য নগরীর প্রধান অনুসঙ্গ উন্মুক্ত পরিসর। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে উন্মুক্ত পরিসর বিলুপ্তির পথে। শত বছরের পুরোনো এ স্থানে সব বয়সী মানুষ নগরীর থেকে কোলাহলমুক্ত পরিবেশ সি আর বি প্রশান্তির নিশ্বাস নিতে আসে।
গতকাল বিকালে সর্বাচিত আলোচনার তুংগে থাকা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ প্রথমে আমি রেলওয়ের এমন সিদ্ধান্ত শোনার পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ আন্দোলন শুরু করি। বর্তমানে যেখানে করোনা রোগীদের কৃত্রিম অক্সিজেন পাওয়াই দুষ্কর সেখানে চারিদিকে গাছের ছায়াতলে প্রাকৃতিক অক্সিজেন অনায়াসেই নিতে পারছে।
এ আন্দোলনে শুধু চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ নয়, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ সমাজের সব মানুষের। প্রয়োজনে আন্দোলন করে সিআরবি রক্ষা করতে হবে চট্টগ্রামের স্বার্থে।
তিনি আরো বলেন, “চট্টগ্রামের মানুষ এখানে বেসরকারি হাসপাতাল চায় না। যতদিন হাসপাতাল নির্মাণের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হবে ততদিন চট্টগ্রামবাসী এ আন্দোলন পরিচালনা করবে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান এই সিআরবি। ঐক্যবদ্ধভাবে চট্টগ্রামের স্বার্থে আমরা সবাই এই আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাব।”
চট্টগ্রাম নগরীতে বাংলাদেশ রেলওয়ে সদর দপ্তর এর প্রস্তাবিত আলোচনা সভায় সিআরবি এলাকায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপনের প্রকল্প রেল বিভাগ গ্রহণ করার পর থেকে তার প্রতিবাদ চলছে চট্টগ্রামে।
সিআরবি এলাকাকে ‘হেরিটেজ জোন’ হিসেবে বন্দর নগরীর মহাপরিকল্পনায় ‘সংরক্ষিত এলাকা’ হওয়ায় সেখানে কোনো বাণিজ্যিক স্থাপনার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।