মোঃ আবুল কালাম, লাকসামঃ নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতন বৈষম্য নিরসন এবং টেকনিক্যাল পদমর্যদা প্রদানের দাবিতে বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন লাকসাম উপজেলা শাখা বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য (দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত) কর্মবিরতী পালন করছেন।
ওই দিন সকাল ৯টা থেকে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্য সহকারীবৃন্দ যৌথভাবে এ কর্মবিরতি পালন করেন। এসময় বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন লাকসাম উপজেলা শাখার সভাপতি আতিকুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন লাকসাম উপজেলা শাখার সভাপতি আতিকুর রহমান বলেন, ১৯৭৯ সাল থেকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) মাধ্যমে স্বাস্থ্য সহকারীগণ ১০টি মারাতœক সংক্রমৃত রোগের (শিশুদের যক্ষা, পোলিও, ধনুষ্টংকার, হুপিংকাশি, ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও হামে-রুবেলা) টিকা প্রদান করেন। কিন্তু স্বাস্থ্য সহকারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যদা প্রদান করা হচ্ছে না। এছাড়া মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ঝুকি নিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীগণ শিশুদের টিকা প্রদানসহ বিদেশ ফেরত জনসাধারণের তথ্যাদি সংগ্রহ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন এবং বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার অনুরোধ জানিয়ে মাঠে কাজ করেন। এসব ঝুকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে সারাদেশে কমপক্ষে ৮ শতাদিক স্বাস্থ্য সহকারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সহকারীগণ এখনো অবহেলিত রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৮ সালে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহাকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্য সহকারীদের এক সমাবেশে বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষণা দেন। এছাড়া ২০১৮ সালে তৎকালিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হলেও অদ্যবধি এর কোনো কার্যকারিতা নেই। তিনি অনতিবিলম্বে দাবিগুলো মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় এ কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকাল ধরে চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।