নিজস্ব প্রতিনিধি
ভূমিদস্যুদের কবল থেকে লাকসাম পৌর এলাকার পুকুর, জলাশয়, খাল, বীল এবং ফসলী জমি রক্ষায় স্থানীয় জণগণকে সম্পৃক্ত করে গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ নিয়ে “লাকসাম পৌরসভা পুকুর জলাশয় রক্ষা কমিটি” নামে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩১ সদস্যের কমিটির মধ্যে আপাতত ৫ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। বাকী আরও ২৬ জন সদস্য পরবর্তীতে অন্তর্ভুক্ত করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
লাকসাম পৌর শহরের একটি অভিজাত রেঁস্তোরায় বেশ কিছু সংখ্যক পৌরবাসীর উপস্থিতিতে অদ্য ১৬ জুন সন্ধায় সর্বসম্মতিক্রমে উল্লেখিত কমিটি গঠিত হয়।
কমিটিতে আবুল হোসেন মিলন আহ্বায়ক, মনির আহমেদ যুগ্ম-আহ্বায়ক, মোস্তফা কামাল মুন্না সদস্য সচিব, মঞ্জুর আহমেদ ও আবু আইয়ুব আনসারী সদস্য মনোনীত হন।
লাকসাম পৌরসভা “পুকুর জলাশয় রক্ষা কমিটি” নামে কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক আবুল হোসেন মিলন বলেন, “লাকসাম পৌর শহর একসময় পুকুরের শহর ছিল। কিন্তু পতিত অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় থেকে একশ্রেণির ভূমিদস্যুরা লাকসামকে পুকুর শুন্য করে ফেলেছে! যার ফলে লাকসাম পৌর শহরে এখন আর পুকুর নেই বললেই চলে। খাল, বিল সহ ডাকাতীয়া নদীও দখলদারদের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। অতীতে অবাধে পুকুর ভরাট এবং খাল, বিল, নদী দখল হওয়ায় গত বছর বন্যায় লাকসামবাসীকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম সুত্রে জানতে পেরেছি লাকসাম পৌরশহরে অবস্থিত লাকসাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের ধোপা পুকুর নামে পরিচিত পুকুরটি একটি স্বার্থান্বেষী মহল ভরাটের পরিকল্পনা করছে। কুচক্রী ওই মহল পুকুরটিকে পরিত্যক্ত দেখানোর জন্য রাতের অন্ধকারে কচুরিপানা ফেলেছে। লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভা প্রশাসক মহোদয় ইতিমধ্যেই পুকুরটি পরিদর্শন করেছেন এবং দ্রুত কচুরিপানা পরিষ্কার করে পুকুরটি রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আজকে গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে আমি ইউএনও মহোদয়ের এমন কঠোর অবস্থানের জন্য ওনাকে সাধুবাদ জানাই। পুকুর, জলাশয়, খাল, বিল, নদী, নালা এবং ফসলী জমি রক্ষায় আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সহায়তা করবো। এ ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালার নুন্যতম ব্যত্যয় হতে পারবে না। এই কমিটির প্রথম কাজ হিসাবে আমরা শিগগিরই ধোপা পুকুর রক্ষায় পুকুরটির পাড়ে ব্যাপক জনসমাগমের মাধ্যমে একটি মানববন্ধন করবো এবং পাশাপাশি এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বরাবরে স্মারকলিপি দেবো। লাকসাম পৌর শহরের কোথাও আর পুকুর জলাশয় ভরাট করা যাবে না। কেউ করতে চাইলে আমরা পৌরবাসীকে সাথে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ। সার্বিক সফলতার জন্য আমরা লাকসাম পৌরবাসীর দোয়া ও সহায়তা কামনা করি”