সারিয়া চৌধুরী, লাকসামঃ
লাকসাম উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধম্যে উদযাপন করা হয়৷
এই উপলক্ষে এক আনন্দ শোভাযাত্রা, ৭দিন ব্যাপি বৈশাখী মেলা, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রংকন প্রতিযোগিতা, লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ এপ্রিল ৭দিন ব্যাপি বৈশাখী মেলা উদ্বোধন, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷
১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলা চত্বর থেকে জাতীয় সংগীত ও বৈশাখী গানের মূর্ছনার মধ্য দিয়ে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়ে, শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে এক লোকজ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদ, লাকসাম থানার অফিসার্স ইনচার্জ নাজনিন সুলতানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজিয়া বিনতে আলম সহ সরকারি কর্মকর্তাগণের নেতৃত্বে এই আনন্দ শোভাযাত্রায় বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি এক আনন্দঘন পরিবেশে মুখরিত হয়ে ওঠে।
এছাড়াও প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আবদুল কুদ্দুস, সাবেক সম্পাদক মজিবুর রহমান দুলাল, প্রেসক্লাব বর্তমান অহবায়ক মনির আহমেদ, সদস্য সচিব ফারুক আল- শাহারা, লাকসাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জাফর আহমেদ, সম্পাদক আবদুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম চৌধুরী হীরাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন ৷
বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন, যেখানে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা লেখা ছিল। অনেকেই আবার গ্রামীণ পোশাকে নিজেদেরকে উপস্থাপন করেন৷ এছাড়াও, লোকনৃত্য ও ঐতিহ্যবাহী সাজসজ্জার মাধ্যমে বর্ষবরণের আনন্দ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ঢাক-ঢোলের বাদ্যি এবং বিভিন্ন লোকসংগীতের সুরে সুরে আবহকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। এই আনন্দমুখর শোভাযাত্রা বাংলা নববর্ষের আগমনকে আরও বেশি উৎসবমুখর এবং আনন্দময় করে তুলেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদ সাংবাদিকদের জানান, “পহেলা বৈশাখ বাঙালির জীবনে এক নতুন আশা ও উদ্দীপনা নিয়ে আসে। আজকের এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, লোকজ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। আমরা সকলে মিলেমিশে এই দিনটিকে উদযাপন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।