লাকসামে তিন আক্তার এর আত্নহত্যা; জনমনে বিরাজ করছে আতঙ্ক

আইন-অপরাধ আরো কুমিল্লা চট্টগ্রাম পরিবেশ সারাদেশ
শেয়ার করুন...

কুমিল্লা দক্ষিন জেলা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলাজুড়ে পৃথক পৃথক ভাবে সোম, মঙ্গল ও বুধবার ৩ টি আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

আত্মহত্যার কারণ পারিবারিক কোন্দল , আর্থিক সমস্যা, প্রেমে ব্যর্থতা, যৌতুক প্রথা ও পরীক্ষায় অকৃতকার্য, ঋণগ্রস্থ হয়ে আত্নহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে বিভিন্ন বয়সের তরুণ-তরুণী ও নারী-পুরুষ। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গৃহবধুরাই আত্নহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। ফাঁসিতে ঝুলে, বিষপান করে এই আত্নহত্যার ঘটনা ঘটছে।
লাকসাম পৌরসভার সোমবার (২৫ জুলাই) পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড (উঃ)লাকসাম সন্ধ্যায় ওয়াপদা অফিসের পাশের বাসিন্দা রিক্সা চালক মানিক মিয়ার মেয়ে বৈশাখী আক্তার চৈতী (১৪) সোমবার সন্ধায় থ্রীপিছ কিনে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের সাথে অভিমান করে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার করে। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
অপরদিকে পৌরশহরের সরকারি হাসপাতালে বিপরীতে রহমান ভিলা নামে একটি বাড়ির ৪র্থ তলা থেকে প্রবাসীর স্ত্রী নাজমা আক্তার প্রিয়াঙ্কার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷
ঐদিন তার স্বামী বিদেশ থেকে বাড়ি আসছিলেন, প্রবাসীর স্ত্রী বিমান বন্দর না গিয়ে তার ১০ বছরের সন্তান মোহনা আক্তার একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে মেয়ে ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের শাহজালাল বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেন । এসময় প্রিয়াংকা নিজ ঘরে একা ছিলেন।
বিকালে কাজের মহিলা বাসার সামনে এসে দরজ বন্ধ দেখে ডাকতে থাকেন। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির মালিককে ডাকাডাকি করেন। বাড়ির মালিক গৃহবধূর আত্নীয় স্বজনকে খরব দেন। সন্ধ্যায় জানালা খুলে দেখতে পায় প্রিয়াঙ্কা ফ্যানের সঙ্গে নাইলনের সাদা রশ্মিতে ঝুলে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে একই উপজেলায় বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে লাকসাম থানা পুলিশ উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের সিংজোড় পূর্বপাড়ার মেস্তুরি বাড়ি থেকে শারমিন আক্তার (১৪) নামক এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
শারমিন পার্শ্ববর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের তুলাগাঁও গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে। সে ৫/৬ দিন থেকে ভগ্নিপতি শাহাদাতের বাড়িতে থাকছে। সে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা যায়।
মঙলবার (২৬ জুলাই) রাতে শারমিনের বোন ও ভগ্নিপতি নতুন বাড়িতে ছিলেন। শারমিন তার বোনের ছেলেকে নিয়ে পুরাতন বাড়িতে ঘুমান। সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে লাকসাম থানায় খবর দেয়া হয়। সামান্য সময়ের ব্যবধানে এ তিনটি আত্নহত্যা নিয়ে এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন মঙ্গলবার বলেন, পৃথক পৃথক তিনটি স্থান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সবগুলো অপমৃত্যু মামলা হয়েছে তবে রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে৷

image_pdfimage_print

শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.