মোশারফ হোসেন, রামগড়
রামগড় বাজারের রাস্তার গলি ও পুরাতন পাবলিক টয়েলেট অবৈধ দখলধার কতৃক এবার দোকান নির্মাণ শুরু করেছে।
সরেজমিন এবং ব্যবসায়ীদের সুত্রে জানা গেছে, দখলধার বিশ্বজিৎ বড়ুয়া যে অংশ এতদিন দখল করে রেখেছে, সেটা হলো বাজারের ১ নং গলির পশ্চিম মাথার অংশ এবং পুরাতন পাবলিক টয়লেট। অবৈধ দখলের কারনে চলাচলের গলিপথ সহ পাবলিক টয়লেটি অনেক দিন জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারেনি।
দীর্ঘদিন অবৈধ দখল করা অংশের ঘরের আকার পরিবর্তন করে বানিজ্যিক দোকান নির্মাণ শুরু করলে বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা বলে রামগড় বাজারের কতৃপক্ষের একটি সিন্ডিকেট চক্রের সহযোগিতায় এতদিনের অবৈধ দখলধার, কিভাবে বর্তমান বৈসম্যমুক্ত সরকারের সময় দখল আরও পাকাপোক্ত করতে ব্যানিজিক দোকান নির্মাণ শুরু করলো।
দখলদার বিশ্বজিৎ বড়ুয়া বলেন এখানে কোন পাবলিক টয়েলেট ছিলো না, আমি ৪৫ বছর যাবত এ জাগায়তে বসবাস করছি। ১৯৮৯ সালে বাজার ফান্ড বরাবর আবেদন করলে ডিসি আমার নামে বন্দবস্ত দেন, যাবতীয় কাগজপত্র আমার কাছে আছে। এদিকে জায়গা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি।
বর্তমান বাজার কমিটি সুত্রে জানা গেছে, যেখানে দোকান করা হচ্ছে এটা এক সময় বাজার গলি ও পাশে পাবলিক টয়েলেট ছিলো। বিশ্বজিৎ বডুয়া তার নামে করেছে কিনা আমরা জানিনা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি জেলা বাজার ফান্ডের পরিদর্শক ডালিম চাকমা জানান বাজার ফান্ডের জায়গায় কেউ দখল করে৷ অথবা অবৈধ দখল করাস্থানে স্থাপনা তৈরি করতে চাইলে বা করলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রামগড় বাজার চৌধুরী বলেন বাজারের গলি দখলের বিষয়টি একাধিক বার খাগড়াছড়ি জেলা বাজার ফান্ড কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে, এবং বিশ্বজিৎ বডুয়ার নামে দখল ছাড়তে একটি উৎচ্ছেদ মামলা চলমান রয়েছে। তবুও দখল না ছাড়ার কারন আমি জানিনা।
রামগড় পৌরসভার প্রতিনিধি মোঃ হারুন জানান বিশ্বজিৎ বডুয়া যে ঘর নির্মাণ করেছে তা পৌরসভার অনুমোদন নাই।
খাগড়াছড়ি বাজার ফান্ডের সাবেক স্টাপ আবদুল মমিন জানান আমি চাকরিতে থাকাকালিন এজায়গা বিশ্বজিত বডুয়া তার নামে করতে অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু করতে পারেনি, এখন কি অবস্থা জানিনা।
এবিষয়ে রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রামগড় পৌরসভার প্রশাসক জানান সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দখলে রেখে পৌরসভার অনুমতি ছাড়া কিছু নির্মাণের ক সুযোগ নেই। বিষয়টি নজরদারিতে আনা হচ্ছে এবং কাগজপত্র দেখা হবে।