মোঃ আনিছুর রহমান আনাছ রাজারহাট(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খিতাব খা গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের পঞ্চাশ উর্ধ্ব নরেশ চন্দ্রের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় গত ২৮ শে সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ধর্ষিতার পরিবারের সকল সদস্য ইউনিয়ন পরিষদে করোনার টিকা নিতে যান। সুযোগ বুঝে পঞ্চাশ উর্ধ্ব নরেশ চন্দ্র তার লালসা মিটানোর জন্য ওই ছাত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করেন। ফাকা বাড়ি পেয়ে তৃতীয় শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। মেয়েটির আত্ম চিৎকারে পাশের বাড়ির কয়েকজন মহিলা ছুটে এসে নরেশ চন্দ্র কে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে নরেশ চন্দ্রের এহেন ন্যাক্কারজনক কাজের জন্য তাকে বাড়ির উঠানে দড়ি দিয়ে বেধে রাখেন।
পরে ঘটনার দিন দিবাগত রাতে ৭০ হাজার টাকা রফাদফা করে অভিযুক্ত নরেশ চন্দ্র কে ছেড়ে দেন। গ্রাম্য সালিশে ৭০ হাজার টাকায় রফাদফা করলেও ভিকটিমের পরিবারকে কোন টাকা পয়সা দেওয়া হয়নি। এবিষয়ে ভিকটিমের দাদা সাংবাদিক কে জানান মঙ্গলবার আমরা বাড়ির সকল সদস্য ইউনিয়ন পরিষদে করোনার টিকা নিতে যাই। টিকা নিয়ে এসে দেখি নরেশ চন্দ্র কে এলাকাবাসী আমার বাড়ির উঠানে খুঠির সাথে দড়ি দিয়ে বেধে রেখেছে। পরে প্রত্যক্ষদর্শির কাছ থেকে জানতে পারি আমার স্কুল পড়ুয়া তৃতীয় শ্রেণির নাতনি কে ধর্ষণ করেছে নরেশ চন্দ্র।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবু মেম্বার ও সালাম মাস্টার গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন।
ভিকটিমের চাচা সাংবাদিক কে জানান স্থানীয় মেম্বার বাবু মন্ডল ও সালাম মাস্টার গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে ৭০হাজার টাকা রফাদফা করে দেন। ৭০হাজার টাকা রফাদফা করে আপোষ মিমাংসা করলেও কোন রকম টাকা পয়সা ভিকটিমের পরিবার পায়নি বলে জানান ভিকটিমের চাচা আমিন।
অভিযুক্ত নরেশ চন্দ্র সাংবাদিক কে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী কে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।
এবিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার বলেন ভিকটিমের পরিবার থেকে এখনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।