রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও চাকুরীর প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। জানা যায় রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ মুশরুৎ নাখেন্দা গ্রামের মৃত্যু আবুল কাশেম এর মেয়ে মঞ্জুয়ারা বেগম কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও চাকুরী দেওয়ার কথা বলে একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী সুলতান বাহাদুর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে।
ভুক্তভোগী তরুণী ইতিমধ্যে তার স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে থানায় হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সরকারের ন্যাশনাল সার্ভিসের সুবিধাভোগী অবস্থায় ১২ বৎছর আগে হাবিবুরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘ ১২ বছরে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাসায় ও হোটেলে নিয়ে গিয়ে নিজের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এভাবে দীর্ঘদিন পর তরুণী হাবিবুর কে বিয়ের চাপ দিলে প্রতারক হাবিবুর তরুণী চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা ও ৩০০ টাকার স্টাম্পে স্বাক্ষর নেন। পরে চাকুরী না হলে স্টাম্প ও টাকা ফিরত দিতেও টালবাহানা শুরু করেন। এমতাবস্থায় তরুণীর শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ৩০শে অক্টোবর/২২ ইং তারিখে রংপুরে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায় অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান। শারীরিক চেকাপ করে তরুণীকে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান। পরে ভুক্তভোগী তরুণী রংপুর থেকে হাবিবুরের বাসায় আসলে হাবিবুরের পরিবারের মহিলা সদস্যরা তাকে বেদম মেরে রক্তাক্ত করে,পরে ওই দিনে ভুক্তভোগী তরুণী রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে রাজারহাট থানায় হাবিবুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণা করে ৫লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের জন্য অভিযোগ দেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান প্রতিবেদকে জানান, মঞ্জুয়ারা বেগমের চাকুরীর দরখাস্ত গুলো আমিই করে দেই এবং একসঙ্গে পিকনিকেও যাই,ওখান থেকে আমাদের পরিচয়। পরবর্তীতে সে অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুরে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে যাই। সুস্থ হয়ে-একপর্যায়ে ও আমার বাড়ি পর্যন্ত আসে বিয়ের দাবি নিয়ে।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল্লাহিল জামান বলেন,ধর্ষণের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে প্রতারণা করে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।