জহুরুল ইসলাম হালিম, রাজবাড়ী
অদম্য মেধাবী আল-আমিন (২২) ও তার বড় ভাই সাদ্দাম হোসেনকে (৩১) পূর্বের বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীরা রোববার দিবাগত গভীররাতে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। বর্তমানে আল আমিন ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের অম্বলপুর এলাকায়। আল-আমিন প্রথম আলোর অদম্য মেধাবী হিসেবে বৃত্তি পেত। বর্তমানে সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারী এন্ড এনিম্যাল সাইন্সে অর্নাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
বড় ভাই সাদ্দাম হোসেনকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আল-আমিন ও সাদ্দাম হোসেন উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের অম্বলপুর গ্রামের মৃত সামাদ মোল্লার ছেলে। এ বিষয়ে সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে প্রতিবেশী ৬জনকে অভিযুক্ত করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রতিবেশী রজব শেখ (৫৬) ও তার পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের ধরে মাঝে মধ্যে তাদেরকে নানাভাবে হয়রানী করতো। এ নিয়ে এলাকায় কয়েকবার বিচার সালিশ ও বসেছে।
রোববার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযুক্ত প্রতিবেশী গফুর শেখ এর ছেলে জসিম শেখ (৩৭), ইকবাল শেখ (২৫), শফিকুল ইসলাম বাবু (৪২), গফুর শেখ এর ভাই রজব শেখ (৫৬), তার ছেলে ইকবাল শেখ (২৫) ও আলিম শেখ (১৯) ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়ির সামনে দাড়িয়ে গালমন্দ করতে থাকে। বাড়িতে থাকা আল আমিন ঘর থেকে বের হয়ে গালমন্দ করতে বারণ করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আল আমিনের ওপর হামলা করে। এসময় জসিমের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল আমিনের গলায় পোচ দিলে রক্তাত্ব জখম হয়। মাথায় কোপ দিলে ডান হাত দিয়ে ঠেকাতে গিয়ে রক্তাত্ব জখম হয়। এছাড়া অন্য সবাই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করে জখম করে।
সাদ্দাম হোসেন এগিয়ে আসলে তার ওপর হামলা করে রক্তাত্ব জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সাদ্দাম হোসেনকে চিকিৎসা দেয়া হলেও আল আমিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। তার ডান হাতের তালুর রগ কেটে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। আসামীদের ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।