রাজবাড়ী সংবাদদাতাঃ
রাজবাড়ী শহরের বাটা রোডের বহুতল ভবন রাশা চৌধুরী টাওয়ারের নিচে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের স্বামীর পরিবার আত্মহত্যা বললেও মায়ের দাবি, তাকে পরিকল্পিত ভাবে ভবন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের নাম লাকী আক্তার (২৭)। তাঁর স্বামীর নাম রাশেদুল হক অমি (৪৭)। রাশেদুল হক অমি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য। লাকীর মা ইসমত আরা বেগম বাদী হয়ে শনিবার বিকেলের দিকে রাজবাড়ী সদর থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে রাশেদুল হক অমির সঙ্গে লাকী আক্তারের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। কিন্তু রাশেদুল মাদকাসক্ত ও পরনারীতে আসক্ত ছিল। প্রায়ই যৌতুকের দাবিতে লাকীকে মারধর করতেন। এসব ঘটনায় একাধিকবার শালিস বৈঠক হয়। শুক্রবার রাত ১১টায় প্রতিবেশী ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন লাকী রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে আছে। তাকে হাসপাতালে বারান্দায় গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে দ্রুত ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাশেদুল হক অমির বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদুলের মামা লিয়াকত আলী চৌধুরী বলেন, আমরা চারতলায় থাকি। অমিরা থাকে ছয় তলায়। ওদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়ে ছিল। একপর্যায়ে রাশেদুল লাকিকে একটি চর দেয়। এরপর অমি বাথরুমে যায়। ফিরে এসে লাকীকে ঘরে পায়নি। আমার বাড়িতে খুঁজতে এসেছিল। কিছু সময় পর ভবনের নিচ থেকে লোকজন চিৎকার করছিলো। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি লাকী ছয়তলা থেকে লাফিয়ে পড়েছে। তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর স্থানান্তর করা হয়।
লিখিত এজাহার দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী সদর থানার দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার এসআই বোরহান উদ্দিন। তিনি জানান, নিহতের মা ৩টার দিকে একটি এজাহার দিয়েছেন। ওসি স্যার এসে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।