রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা উদযাপন করছে মধু পূর্ণিমা। এ তিথিতে বর্ষাবাসরত তথাগত গৌতম বুদ্ধকে মধু দান করেছিলেন এক বানর। এ কারণে দিনটি মধু পুর্নিমা নামে পরিচিত।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই মধু পুর্নিমা উপলক্ষে রাঙ্গামাটির বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জড়ো হতে থাকে। এসময় শত শত বৌদ্ধ নর-নারী বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মধুর পাশাপাশি বিভিন্ন ফলমূল, মধু মিশ্রিত পায়েস ও খাবার দান করেন এবং সকলের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেন। রাঙ্গামাটি ১০ উপজেলার বৌদ্ধ বিহারগুলোতে সকাল থেকে মধু পুর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সকালে রাঙ্গামাটি বৌদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার, আনন্দ বিহার, সাক্ষ্যমনি বৌদ্ধ বিহার, ধনপাতা বৌদ্ধ বিহারসহ রাঙ্গামাটির বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে সংঘ দান, অস্ট পরিস্কার দান, বুদ্ধ মুর্তি দান, মধু দানসহ নানা দানকার্য সম্পাদন করা হয়। রাঙ্গামাটি শহরের পুর্ন্যার্থীরা ভিক্ষুর কাছ থেকে পঞ্চশীল গ্রহণ করেন। এর আগে সবার সুখশান্তি কামনায় বুদ্ধ মুর্তির সামনে প্রদীপ প্রজ্জলনসহ দেশ ও বিশ্ব মান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা করা হয়।
সন্ধ্যায় সন্ধ্যা প্রদীপ, মঙ্গল প্রার্থনা ও আকাশ প্রদীপ প্রজ্জ্বলনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। আগামীকালও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে মধু পুর্ণিমা উপলক্ষে নানাবিধ ধর্মীয় অনুষ্ঠান মালা আয়োজন করা হয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের মতে, বহু বছর আগে এ পূর্ণিমাতে বুনো হাতি বন থেকে ফলমূল সংগ্রহ করে ধ্যানরত বুদ্ধকে দান করতে দেখে বনের বানরও মৌচাকের মধু সংগ্রহ করে দানে মগ্ন হয়। এ ঘটনাকে স্মরণ করেই প্রতি বছরের ভাদ্র মাসের পূর্ণিমার এ তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা মধু পূর্ণিমা উদযাপন করে থাকেন।
বৌদ্ধদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলো এ মধু পূর্ণিমা। মধু পূর্ণিমার অপর নাম ভাদ্র পূর্ণিমা। ভাদ্র মাসে এ পূর্ণিমা তিথি অনুষ্ঠিত হয় বলে মধু পূর্ণিমাকে অনেকেই ভাদ্র পূর্ণিমা বলে থাকে।