রাউজানে সনাতনী সমাজে আলোচিত ব্যক্তিত্ব – সুমন দাশ গুপ্ত

আরো চট্টগ্রাম পরিবেশ সারাদেশ
শেয়ার করুন...

নিজস্ব প্রতিবেদক,রাউজান (চট্টগ্রাম) :
রাউজান সনাতনী সমাজে এক পরিচিত নাম সুমন দাশ গুপ্ত। তিনি বর্তমানে পূজা উদযাপন পরিষদ, রাউজান-এর সাধারণ সম্পাদক এবং রাউজান ঐক্যবদ্ধ সনাতনী সমাজের মুখপাত্র (৫ জন সমন্বয়কের একজন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
“সু–মন” মানে সুন্দর মন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—
কে এই সুমন,কবে থেকে তার যাত্রা,
তার কাজ কী,জীবিকার উৎস কোথায়?
২০১২ সালে বাংলাদেশ বৃহত্তর ধর্মীয় সংগঠনের হাত ধরে সংগঠিতভাবে কাজ শুরু করেন সুমন দাশ গুপ্ত। শুরু থেকেই তিনি ও তার টিম সমাজকল্যাণমূলক নানা কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ,শীতার্তদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ,অসহায় নারীদের উদ্ধার ও বিবাহের ব্যবস্থা,
সমাজ সচেতনতা মূলক মাতৃসম্মিলন আয়োজন
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সেমিনার,
দুর্গাপূজায় স্বার্ত্ত্বিকতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মন্দিরে প্রচার।
৫ আগস্ট ২০২৪ – একটি ভুল ধারণা
অনেকে মনে করেন, ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর থেকে তিনি সনাতনী সমাজে সক্রিয় হয়েছেন। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
২০১২সাল থেকে
এতদিন তিনি আড়ালে থেকে কাজ করায় অনেকেই তাকে চিনতেন না।
নাম অবশ্যই অনেকের জানা ছিল, কিন্তু প্রকাশ্যে তার কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি।
৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আরো বেশি করে রাউজানের সনাতনী সমাজে জড়িয়ে পড়েন, ফলে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও কার্যক্রমে তার উপস্থিতি চোখে পড়ে।
বিপদের সময় মানুষ তাকে ফোন করলে তিনি পাশে থেকেছেন—আগে যেমন, এখনো তেমন।

শিল্পী সুমন আয় ও
জীবিকার উৎস গান-বাজনা,তিনি একজন সংগীতশিল্পী ও শিক্ষক,প্রফেশনাল মিউজিসিয়ান বর্তমানে তিনি তবলা, অক্টাপ্যাড ও গান শেখান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।
এই আয় দিয়েই তিনি নিজের ও পরিবারের জীবনযাপন চালিয়ে যাচ্ছেন।
সমাজের জন্য বার্তা
সুমন দাশ গুপ্ত বলেন— “মানুষের সব আঙুল সমান নয়, ভালো-খারাপ মিলেই একজন মানুষ পূর্ণ হয়। তাই যদি কারো অভিযোগ, প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে, আসুন আলোচনায় বসি। এতে সনাতন সমাজের কল্যাণ হবে এবং এর সুফল ভোগ করবো আমরা সকলে।”

রাউজানে সনাতনী সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন সুমন দাশ গুপ্ত। তার কাজ নিয়ে মতভেদ থাকলেও একটি বিষয় স্পষ্ট—তিনি সমাজের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *