রংপুরে হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় হেযবুত তওহীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

আইন-অপরাধ আরো ঢাকা পরিবেশ সারাদেশ
শেয়ার করুন...

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
রংপুরে হেযবুত তওহীদের উপর পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ ২০২৫) সকাল ১০টায় ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

জড়িতদের গ্রেফতার, আহতদের সরকারী অর্থায়নে চিকিৎসা, ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্নবাসন ও ক্ষতিপূরণ, ক্ষতিগ্রস্থদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সারাদেশে হেযবুত তহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করে জানমালের নিরাপত্তাসহ ৭দফা
জড়িতদের গ্রেফতার, আহতদের সরকারি অর্থায়নে চিকিৎসা, ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্নবাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সারাদেশে হেযবুত তওহিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করে জানমালের নিরাপত্তাসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরে বক্তারা বলেন, “একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বারবার হামলার শিকার হচ্ছে। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে এবং অপরাজনীতি করে এরা হেযবুত তওহীদকে টার্গেট করেছে। এই হামলাকারীরা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করে ‘তওহীদি জনতা’, ‘মুসলিম জনতা’ বা ‘এলাকাবাসী’ নামে প্রচার চালায়। তারা কৌশলে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে সংঘর্ষ সৃষ্টি করে। রংপুরের পীরগাছার ঘটনাও এই কৌশলে ঘটানো হয়েছে।”

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহিদের ঢাকা বিভাগের সভাপতি ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ, কেন্দ্রীয় তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা, নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের সভাপতি আরিফ উদ্দিন, আল আমিন সবুজ, শহিদুল ইসলাম, ফরিদ উদ্দিন রব্বানী, মোখলেছুর রহমান সুমন, আয়েশা সিদ্দিকা, তাসলিমা ইসলাম, তানজিলা আক্তারসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য- “গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রংপুর বিভাগীয় আমির আবদুল কুদ্দুস শামীম তার গ্রামে একটি প্রীতিভোজের আয়োজন করেন। কিন্তু অনুষ্ঠানের আগের দিন পরিকল্পিতভাবে উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি মিছিলসহ তার বাড়িতে হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলাকারীরা আবদুল কুদ্দুস শামীমের ও তার বাড়ি লগোয়া ৫টি বাড়িঘর তছনছ করে, ২০ জন নেতাকর্মীকে আহত করে। ২২-২৩টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও ফ্রিজ, টিভি, গবাদিপশুসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করা হয়। আমাদের পক্ষ থেকে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে অবহিত করা হলেও দুই ঘণ্টা পর সেনা সদস্যরা উপস্থিত হয়। কিন্তু তাদের সামনেই লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে উগ্রবাদীরা। বৃদ্ধদের হাত-পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়, তাদের নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.