পীরগাছায় সংবাদদাতাঃ পরকীয়ার জেরে দুই স ন্তানের জননী আয়েশা আখতারকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী মাইনুদ্দিন।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে রংপুরের পীরগাছার খামার নয়াবাড়ি এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম পলাশ জানিয়েছেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাইনুদ্দিন ২০ বছর আগে পীরগাছার অন্নদানগর ইউনিয়নের খামার নয়াটারী এলাকায় বিয়ে করেন এবং সেখানেই বাড়িঘর করে বসবাস শুরু করেন। তবে সম্প্রতি তার স্ত্রী আয়েশা পার্শ্ববতী জগজীবন গ্রামের এক ব্যক্তির সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
এ নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশ হলেও স্ত্রী পরকীয়া থেকে সরে না আসায় কিছুদিন আগে মাইনুদ্দিন স্ত্রী সন্তানসহ ঢাকায় চলে যান।
তবে গত ২৯ মে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন তারা। বাড়িতে এসে আবারও আয়েশা ওই ব্যাক্তির সাথে পরকীয়ায় জড়ায়।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) রাতে আবারও স্ত্রী আয়েশা বেগম ওই ব্যাক্তির সাথে মোবাইলে কথা বলার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। ক্ষুব্ধ হয়ে মাইনুদিন তাকে কুড়াল ও শাবল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
শুক্রবার সকাল ৭টায় নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
পুলিশের জানায়, আত্মসমর্পণের পর মাইনদুদ্দিনকে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সিআইডির একটি টিম লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরির কাজ করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আয়েশা এবং মাইনুদ্দিন দম্পতির ১৩ বছর এবং ৭ বছর বয়সী দুটি সন্তান আছে