অনলাইন ডেস্কঃ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সাংবাদিকরা বিশ্বজনমত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যারা কলমসৈনিক, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিকদের অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সংগঠনটির মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খুব দ্রুতই আলাদা স্মার্ট কার্ড তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুতই উপজেলায় এগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত এক লাখ ৮৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নতুন করে আর কেউ তালিকায় স্থান পাবে না, তবে আপিল নিষ্পত্তি হবে। তাদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। সংবর্ধনাপ্রাপ্তরা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কৃষ্ণ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাক আহমেদ মোবারকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল বাশার চপল, বীর মুক্তিযোদ্ধা কার্তিক চ্যাটার্জী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন দাশ গুপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার হারুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শংকর কুমার দে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হালিম আজাদ।
এ সময় ডিআরইউয়ের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব, ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ডিআরইউয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কাফি, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব ও ডিআরইউয়ের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।