যশোর সংবাদদাতাঃ
যশোর যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধোনি খুনের সাথ জড়িত ৩ জন আটক হয়েছে। পুলিশ ও র্যাব আলাদা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে৷ এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু, চাইনিজ কুড়াল ও ২ টি গাছি দা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো শহরের রেলরোড টিবি ক্লিনিক ফুড গোডাউন এলাকার ফরিদ মুন্সির ছেলে রায়হান (২৫) , শংকরপুর হারানবাড়ি এলাকার বাবু মীরের ছেলে ইছা মীর (২০) ও টিবি ক্লিনিক এলাকার রইজের ছেলে আল আমিন (২৫)। এই তথ্য নিশ্চিত করে যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, যশোর নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ মানুয়ার নির্দেশে দুর্বৃত্তরা ধোনিকে খুন করে। তিনি আরও জানান, ,মূলত বিএনপির রাজনীতির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাতে পুলিশ সুপার বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপি নেতা শামীম আহম্মেদ মানুয়া ও বদিউজ্জামান ধনির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল। ওই দ্বন্দ্বের জেরে মানুয়ার মেয়ের জামাই ইয়াসিন হত্যা মামলায় ধনিকে আসামি করা হয়।
সর্বোপরি এলাকায় দলীয় কোন্দল আর রাজনীতির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে ধনিকে হত্যা করা হয়। মানুয়ার নির্দেশে তার ভাগ্নে রায়হান হত্যা করে। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ৬ যশোরের স্কোয়াড কমান্ডার এ এসপি শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবরের মোড়ে নিজ বাসভবনের সামনে যুবদলের সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধ্বনিকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্ত্বরা। বুধবার নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান মণি বাদী হয়ে পৌর বিএনপির নেতাসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন।