ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনে এডিএম উম্মে হাবীবা মীরা দায়িত্বশীল সৎ কর্মকান্ডে প্রসংশিত

আরো পরিবেশ ময়মনসিংহ সারাদেশ
শেয়ার করুন...

স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রশাসন ক্যাডারে একজন সৎ, কর্মঠ, নিরহংকার, দক্ষ ও মানবিক কর্মকর্তা হিসেবে ইতিমধ্যে তার সততা ও সাহসীকতায় ময়মনসিংহের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) উম্মে হাবীবা মীরা। ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম এর নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রশাসনকে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে জেলায় বিচ্ছিন্ন অভিযান টিম পরিচালনা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ডদের কর্মকান্ড মনিটরিং এর মাধ্যমে জনসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে জেলাবাসীর যেকোন বিপদ-আপদে প্রশাসনিক সেবার মাধ্যমে পাশে থাকতে সার্বণিক শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন এডিএম উম্মে হাবীবা মীরা। তাঁর সততা, কর্মস্পৃহা, দায়িত্বশীলতা ও জনমানুষের প্রতি আন্তরিকতা তাকে বসিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও যে আমজনতার মাঝে মিশে যাওয়া যায়, সেটা তিনি দেখিয়ে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত তার কর্মদতা, সততা, আন্তরিকতার ছোঁয়ায় ও সাহসিকতায়। তিনি ক্রমশ হয়ে উঠেছেন ময়মনসিংহ জেলাবাসীর আইকন। জনগণের যেকোন মহাদুর্যোগে জেলা শহরসহ ১৩টি উপজেলায় ছুটে বেড়ান মানুষকে সচেতন করতে। অনেক সময় তিনি জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম এর সাথে পরামর্শ করে তার নির্দেশনায় অসচ্ছল মানুষের মাঝে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিয়ে হয়েছেন ব্যাপক সমাদৃত।

বিএমইউজে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান বলেন ময়মনসিংহ জেলা শহরে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের জন্যও তিনি তার মেধা দিয়ে দিয়ে পাশে থাকেন। সম্প্রতি ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের অধিকার বঞ্চিত সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনেও নিরীহ ও অসহায় বঞ্চিত সাংবাদিকদের পাশে থেকে ময়মনসিংহ প্রেসকাব সংস্কারে সহযোগিতা করেও তিনি সাংবাদিক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়ে উঠেছেন। তিনি জনগণের সেবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে জেলা প্রশাসন সম্পর্কে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণাই পাল্টে দিয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিসহ সমাজের অসামাজিক কর্মকান্ড প্রতিরোধে, মাদক বিরোধী জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা উপজেলায় জনবহুল স্থানে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ অবহেলিত আর নিগৃহীত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়ে সকলের আস্থা ও বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছেন। নিরলস পরিশ্রম ও সততার মাধ্যমে নিজের পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তিনি নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন এক অনন্য উচ্চতায়।

সরকারি চাকরির নিয়মই হচ্ছে এক জায়গায় বেশিদিন দায়িত্ব পালন করা যাবে না। চলে যেতে হবে অন্য কোনো কর্মস্থলে। সেবা দিতে হবে সেই অঞ্চলের জনসাধারণের। এই নিয়মের বাইরে নন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। চাকরিজীবনে তাদের বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালন করতে হয়। কিন্তু যার মধ্যে সততা থাকে তাকে জেলাবাসী সারাজীবন মনে রাখে। এমনই একজন সৎ, নির্ভীক, কর্মঠ ও নিরহংকারী মনের অধিকারী মানুষ হচ্ছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা। এই মানুষটি সম্পর্কে যত ইচ্ছা ততই লেখা যাবে। কেউ যদি মনে করেন ডিসিকে খুশি করার জন্য এই লেখা, তাহলে ভুল। যে মানুষটি ভালো করে তার ভালো আর যে খারাপ করে তার খারাপ দিকটা জনসমক্ষে তুলে ধরাই গণমাধ্যম কর্মীদের দায়িত্ব, আর সেই দায়িত্ববোধ থেকে এই প্রতিবেদন তেরী। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরার সততা ও দক্ষতা তার নেতৃত্বে চলমান এডিএম কোর্ট বিচার প্রার্থীদের কাছে আস্থার স্থল হিসাবে পরিণত হয়েছে বলেও জানা গেছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে জমিজমার দখল সংক্রান্ত দ্রুত বিচার পাবার জন্য মামলা রুজু করা হয়ে থাকে। একটি মামলা দায়েরের পর সে বিষয়ে দখল সংক্রান্ত প্রতিবেদন, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য স্থানীয় থানাকে নির্দেশনা প্রদান, বিবাদীর জবাব দান এবং সর্বোপরি এ সকল বিষয়ে আদালতে শুনানি গ্রহণের জন্য একাধিক তারিখে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। বিগত দেড় মাসে নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা যার অবসান ময়মনসিংহ বিভাগের অন্যান্য জেলার নিষ্পত্তির হারের মধ্যে বেশ উপরের দিকে।

এ আদালতের বিচারপ্রার্থী এক ব্যক্তি সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মামলা দায়ের করেছিলাম। তখন থেকে বার বার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও তিনি চূড়ান্ত রায় পাননি। বর্তমান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করে অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করে দেন। তিনি বর্তমানে বিবাদী পক্ষের অপশক্তির হাত থেকে মুক্ত বলে জানান।

তিনি ময়মনসিংহে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে গত ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর যোগদানের পর থেকে ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ রাতদিন সেবা পাচ্ছেন। তার মতো অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যদি প্রত্যেক জেলায় দায়িত্ব পালন করত তাহলে দেশের চেহারাটা মুহূর্তের মধ্যেই বদলে যেত। এমন প্রশংসনীয় কারণে তিনি ময়মনসিংহ জেলাবাসীর কাছে দেড় মাসে সর্বস্থরের মানুষের মুখে মুখে তার প্রসংশা। তিনি বর্তমানে এ জেলার সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা বলেন, আমার ওপর অর্পিত রাষ্ট্রের সকল আদেশ আমি সততা, স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করে যাচ্ছি। হতদরিদ্র, অসচ্ছল, অসহায় মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্ধ যথাযথভাবে স্বচ্ছ তালিকার মাধ্যমে বণ্টন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় সরকারি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যাতে কোনো প্রকার অনিয়ম না হয় সেদিকে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি এখানে কিছু দিতে এসেছি, নিতে নয়। সকলে চাইলেই একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি সরকারের গৃহীত সকল মহতী কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানান।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.