মোশারফ হোসেন! রামগড়, খাগড়াছড়িঃ
ফেনী নদী হতে ভারতের পানি উত্তলনের স্থান খাগড়াছড়ির রামগড়ে ফেনী নদীর আংশ পরিদর্শনে এসেছেন বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) যৌথ প্রতিনিধিদল। ১৪ জুন সকাল ১০টায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল মৈত্রী সেতুর ওপারে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সাথে যৌথভাবে রামগড়-সাবরুম সীমান্তে অবস্থিত পানি উত্তোলনের জন্য প্রস্তাবিত খননের স্থান এবং ফেনী নদীর তীর রক্ষায় ব্লক স্থাপন কার্যক্রম এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে দুই দেশের প্রতিনিধি দল সাব্রুম শহরে পঞ্চায়েতের কনফারেন্স হলে আলোচনা সভায় যোগদেন। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলী প্রামানিক এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক সাজু ওয়াহিদ। প্রতিনিধি দলের সদস্য ও রামগড় উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা খোন্দকার মু. ইফতেখার উদ্দীন আরাফাত জানান, সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর মাঝখানে ইনটেক ওয়েলে বা কূপ খনন করে পাইপের মাধ্যমে সমঝোতার ১.৮২ কিউসেক পানি উত্তোলন করে নিতে চাচ্ছে ভারত। পানি প্রবাহের ভারতীয় অংশে না করে নদীর মধ্যবর্তী স্থানে কূপ খননের প্রস্তাবনার বিষয়ে প্রকৌশলগত যর্থাথতা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে আসেন এ প্রতিনিধি দল। তিনি আরও জানান, ফেনী নদীর তীর রক্ষায় নদীর যেসব স্থানে ব্লকস্থাপন করা হবে সেসমস্ত জায়গাও পরিদর্শন করেন। এসময় বাংলদেশ অংশ নদীর তীর রক্ষায় ব্লক স্থাপন কার্যক্রমের ব্যাপারেও আমাদের পক্ষ থেকে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো’র) চট্টগ্রাম শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. জীবন কুমার সরকার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিপ্তরের সহকারি পরিচালক ফৈরদৌস হোসেন, রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত ।অন্যদিকে ভারতীয় ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের অন্যরা হলেন, ত্রিপুরা সরকারের প্রধান প্রকৌশলী গনপূর্ত (পানি সম্পদ) নিখিল দেবনাথ, প্রধান প্রকৌশলী গনপূর্ত ইঞ্জিঃ রাজীব দেববর্মা, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইঞ্জিঃঅজিত কুমার দেববর্মা, কমান্ডিং অফিসার ৯৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ অধিনায়ক রাজ পাল সিং ।
উল্লেখ্য, ২০১২সালে ভারতের ত্রিপুরার সাবরুম শহরে খাবার পানির সংকট মেটাতে ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের সিদ্বান্ত নেওয়া হয়।পরবর্তীতে ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষে সমঝোতা স্মারক সই হয়।