করোনার এ সময়ে ব্যাংকঋণ নিয়ে মুঠোফোন-ল্যাপটপ কেনায় ঋণসুবিধা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এত দিন একজন গ্রাহক এক লাখ টাকার ল্যাপটপ কিনতে ৩০ হাজার টাকা বা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাংকঋণ নিতে পারতেন। এখন সেই সীমা বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা বা ৭০ শতাংশ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে ডিজিটাল যন্ত্র কেনাকাটায় উৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারই অংশ হিসেবে ভোক্তা ঋণে ল্যাপটপ, মুঠোফোন, কম্পিউটার ও ট্যাব কেনার ক্ষেত্রে ঋণসুবিধা বাড়ানো হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ ঋণ করে এ সময়ে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠা মুঠোফোন ও ল্যাপটপের মতো সামগ্রী কিনতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, করোনা মহামারির কারণে প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বর্তমানে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডিজিটাল যন্ত্রের (ডিভাইস) ব্যবহার বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বর্তমানে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডিজিটাল যন্ত্রের (ডিভাইস) ব্যবহার বেড়েছে। এ ছাড়া সরকারের রূপকল্প ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার অংশ হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল অভিগমন এবং তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ মানবসম্পদ উন্নয়নে আইসিটি খাতে অর্থায়নকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
তবে ব্যাংকগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ ব্যাংক ছোট অঙ্কের এসব ঋণ দেয় না। কারণ, এসব ঋণের গড় পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা। খুচরা ঋণে নথিপত্র তৈরিতেই অনেক খরচ লেগে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এখন থেকে ভোক্তা ঋণের আওতায় গ্রাহকের ডিজিটাল ডিভাইস (ল্যাপটপ, মুঠোফোন, কম্পিউটার, ট্যাব ইত্যাদি) কেনা বাবদ ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ঋণসীমার অনুপাত ৩০: ৭০–এর পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৭০: ৩০ অনুপাত অনুসরণ করা যাবে।
তবে ব্যাংকগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ ব্যাংক ছোট অঙ্কের এসব ঋণ দেয় না। কারণ, এসব ঋণের গড় পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা। খুচরা ঋণে নথিপত্র তৈরিতেই অনেক খরচ লেগে যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনার ফলে ব্যাংকগুলো এসব ঋণে এগিয়ে আসবে বলে আশা করছেন শিক্ষার্থীরা। এসব ছোট ঋণের জন্য ব্যাংকগুলোর পৃথক সেবা পণ্য চালুর তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।