অনলাইন ডেস্কঃ মিসরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম দেশটিতে নিযুক্ত এশিয়া অঞ্চলের সেরা কূটনীতিক নির্বাচিত হয়েছেন।
মিসরের কূটনীতিক মহলে জনপ্রিয় ও সমাদৃত ‘ডিপ্লোম্যাসি ম্যাগাজিন’ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের মধ্য থেকে বাছাই করে ৫ দেশের রাষ্ট্রদূতকে সেরা কূটনীতিক হিসেবে নির্বাচিত করেছে।
অন্যরা হলেন: মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত অক্টাভিউ ট্রিপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান বার্জার, আলবেনিয়ার রাষ্ট্রদূত এডওয়ার্ড সোলো ও রুয়ান্ডার রাষ্ট্রদূত আলফ্রেড জ্যাকোবা।
গত রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় কায়রোর কনকর্ড এল-সালাম হোটেলে ‘৪র্থ ডিপ্লোম্যাসি ম্যাগাজিন বার্ষিক পুরস্কার অনুষ্ঠান’-এ বাংলাদেশসহ নির্বাচিত ৫ রাষ্ট্রদূতকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
মিসরের ‘ডিপ্লোম্যাসি ম্যাগাজিন’ নির্বাচিত সেরা কূটনৈতিকদের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস
ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক আবদেল হাই মোখতারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, বিশিষ্ট ব্যক্তি, সাংবাদিক ও শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, মিসরে বাংলাদেশের আবাসিক মিশন খোলার ৫০ বছর পূর্তি হতে চলেছে। কিন্তু, এই ২ দেশের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল ষষ্ঠ শতাব্দীতে যখন আরব অভিযাত্রীরা ধর্মপ্রচার ও বাণিজ্যিক কারণে প্রাচীন বাংলায় আসা-যাওয়া করতেন।
তিনি আরও বলেন, ‘মিসরের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণ ও সরকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছিল এবং সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে এগিয়ে এসেছিল। মিসরের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আনোয়ার সাদাত ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১৯৭৪ সালে আমাদের মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা সফর করেছিলেন।’
‘আধুনিক যুগে সম্পর্কের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ও মিসর পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উপভোগ করছে। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী এপ্রিল থেকে ঢাকা-কায়রো সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু হতে যাচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-মিসর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ঈমান-জাদসহ মিশরের ৫ বিশিষ্টজনের হাতে বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূতের সনদপত্র তুলে দেন রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম।
নির্বাচিত শুভেচ্ছাদূতদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মিসরের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরও উচ্চপর্যায়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।