অনলাইন ডেস্কঃ
রমজানের শুরুতে দাম বেড়ে যাওয়ায় বেগুনের পরিবর্তে মিষ্টি কুমড়া বা অন্য কোনো সবজি দিয়ে বেগুনি তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বেগুনের দাম ১১০ টাকার ওপরে চলে গিয়েছিল। সেটা এখন কমে ৮০ টাকায় এসেছে। তা বেগুন দিয়ে বেগুনি না খেয়ে আরও যেসব সবজি সহজলভ্য আছে, সেটা দিয়ে খেলেই হয়। আমরা তো তাই খাই। মিষ্টি কুমড়া দিয়ে খুব ভালো বেগুনি বানানো যায়। আমরা এভাবে করি।
আজ বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যাতে বেশি কষ্ট না পায় সে পদক্ষেপ সরকার নিয়েছে। মোটা চালের দাম এখন ৪৬ টাকার মতো, সেটা খুব বেশি বাড়েনি। চিকন ও মাঝারি চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। আলু পাইকারি বাজারে ২০ টাকা, খুচরা বাজারে ২৫ টাকা। পেঁয়াজের দামের জন্য এখন কৃষক হাহাকার করছে।
তিনি বলেন, করোনার কারণে জিনিসের দাম বেড়েছে। রড সিমেন্ট-প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। এটা কেবল বাংলাদেশে নয়, সব দেশে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার জন্য আমেরিকার অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এক ডলারের তেল চার ডলার হয়ে গেছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপে সাড়ে সাতভাগের ওপরে মূল্যস্ফীতি। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ৬ ভাগের নিচে আছে। তিনি বলেন, এই করোনার ধাক্কার মধ্যেও বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯৪ ভাগ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পেয়ে দুই হাজার ৫১১ মার্কিন ডলার হয়েছে। জিনিসের দাম বাড়লেও মানুষের আয় বেড়েছে। দারিদ্রসীমাও কমেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকতে বিদেশ থেকে কোনো জিনিস কেনার সময় ১০ টাকার জিনিস ২০ টাকায় কিনে বাকি ১০ টাকা পকেটে ঢুকাতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে সেটা হয় না বরং দাম কমিয়ে আনার চেষ্টা থাকে।
শেষ হলো সপ্তদশ অধিবেশন
বিরোধী দলীয় উপনেতা ও সংসদ নেতার বক্তব্যের পর বিকেলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনান। আট কার্যদিবসের এই অধিবেশন শুরু হয় গত ২৮ মার্চ। এই অধিবেশনে মোট নয়টি বিল পাস হয়। একাদশ সংসদের প্রথম বেসরকারি বিলও উত্থাপন হয় এ অধিবেশনে। মহামারিকালে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে বসা এই অধিবেশনে অংশ নিতে নিয়মিত বিরতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে হয়েছে সবাইকে। এই অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৩৫টি প্রশ্ন করেন সংসদ সদস্যরা। যারমধ্যে ১৭টির জবাব দিয়েছেন তিনি। অন্য মন্ত্রীদের জন্য প্রশ্ন জমা পড়ে ৮৫৭টি। মন্ত্রীরা উত্তর দিয়েছেন ৫৬৩টির। অধিবেশনের শেষ দিন ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি সাধারণ প্রস্তাব পাস হয়।
সূত্রঃ সমকাল