জাবেদ তালুকদার, হবিগঞ্জঃ ১২ পিছ চমচম আর ১০ পিছ পাটিসাপটাছিল তার প্রথম সেল। মাত্র ২০০ টাকা মূলধন নিয়ে শুরু করেন উদ্যোক্তা জীবন। তখন কীভেবেছিলেন এই ২০০ টাকা একদিন তাকে নিয়ে যাবে লাখপতির কৌটায়। বলছিহবিগঞ্জ শহরস্থ রাজনগর এলাকার বাসিন্দা তরুণ উদ্যোক্তা জেসমিন আক্তার বৃষ্টির কথা।অনলাইনে হোমমেইড ফুড (বাড়িতে খাবার বানিয়ে তা ডেলিভারী ম্যান দিয়ে পৌছেদেওয়া) নিয়ে কাজ করছেন তিনি। নিজের পরিশ্রম, এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় আর তারপরিবারের সমর্থন নিয়েই তার পথচলা। বাবা নেই, নেই কোন ভাই। ঘরের বড় মেয়েহিসেবে পরিবারের গুরু দায়িত্ব আর বাসার কাজের ফাকে অর্ডারের কাজ করেন তিনি।প্রশাসন সহ বিভিন্ন সংস্থার অনুষ্ঠানেও খাবার পরিবেশন করেন তিনি। তরুণ এইউদ্যোক্তার সাথে কথা হয় আমাদের প্রতিনিধি জাবেদ তালুকদারের, শুনান তার উদ্যোক্তাজীবনের নানা গল্প। তার উদ্যোক্তা জীবন শুরু সম্পর্কে তিনি বলেন- প্রথমেই আল্লাহরশুকরিয়া আদায় করে নিচ্ছি, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আমার পথচলা শুরু এবং এপর্যন্ত টিকে থাকা, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন সময়ে বাসায় থাকতেথাকতে অনেকটা বোরিং লাগছিল। তখন দেখলাম অনলাইনে অনেকেই খাবারসহ বিভিন্নআইটেম নিয়ে কাজ করছেন, ভাবলাম আমিও শুরু করি। যেই ভাবনা সেই কাজ। তখনচিন্তাও করতে পারি নি, আমার উদ্যোগটা এভাবে সাড়া ফেলবে, আল্লাহর রহমতে ব্যপকসাড়া পেয়েছি। প্রথমে মিষ্টি আইটেম নিয়ে কাজ শুরু করে এখন নাস্তা, ডেজার্ট, ফাস্টফুড,(প্রোগ্রাম) বার্থডে/গায়ে/এনিভার্সিরি হলুদ কেক সহ বিভিন্নআইটেমের অর্ডার পাচ্ছি। উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি কার সহযোগিতা ওসমর্থন পেয়েছেন? প্রতিবেদতের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মায়েরজন্যই আমি আজ এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি এবং ভবিষ্যৎেও বহুদূর এগিয়ে যেতেপারবো ইনশা আল্লাহ। আমার মা এবং ছোট ২টি বোন ফারিয়া ও সিদরুতালমুনতাহা আমাকে সকল কাজে সহযোগীতা করে। এ পর্যায়ে আসার পেছনে তাদেরঅবদান অনস্বীকার্য। উদ্যোক্তা জীবনে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীনহয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুরুর দিকে ডেলিভারী নিয়ে অনেকবিড়ম্বনার শিকার হয়েছি অনেক সময় নিজেকেই বাধ্য হয়ে ডেলিভারী দিতে হয়েছে,এখন সেই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছেনা। হবিগঞ্জ শহরে পর্যাপ্ত পরিমানে ডেলিভারী বয়রয়েছে। উদ্যোক্তা জীবনের সবচাইতে বড় প্রাপ্তি জানতে চাইলে তিনি বলেন কাস্টমারদেরভালবাসাই উদ্যোক্তা জীবনে আমার সবচাইতে বড় প্রাপ্তি। তার এ উদ্যোগ নিয়েনিজের স্বপ্ন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন- ভবিষ্যৎে বড় একটা রেস্টুরেন্ট করতেচাই, এবং এতে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই। সফল হতে পারলেএকটি বৃদ্ধাশ্রম করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি।