কুমিল্লা দক্ষিন জেলা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে গৃহবধূ মারজাহান আক্তার কুসুম(১৯) কে স্বামীর বাড়িতে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়। ঘটনাটি ঘটেছে (৮ জুন ২০২২) বুধবার বিকেলে বাংলাইশ মজুমদার বাড়িতে। উপজেলার ৪নং ঝলম ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের বাংলাইশ মজুমদার বাড়ির মোস্তফা মিয়ার ছোট ছেলে মোঃ দিদার হোসেনের সাথে পাশের উপজেলা লাকসামের মুদাফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের ফুলহারা গ্রামের আঃ রশিদের মেয়ে মারজাহান আক্তার কুসুমের সঙ্গে বিবাহ্ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের ১১ মাস পার না হতেই যৌতুক ও স্বামীর পরকীয়ার বলি হন কুসুম। নিহত কুসুমের পরিবারের অভিযোগ দিদার হোসেনের সাথে মারজাহান আক্তার কুসুমের বিবাহ্ হওয়ার পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা ছিলো না।স্বামী একটি ডিস অফিসে চাকুরীর সুবাধে ঢাকায় থাকেন। দিদার হোসেন কুসুমকে তার বাবার বাড়ি হতে ৩ লক্ষ টাকা ও আসবাবপত্র নিয়ে আসার জন্য মানসিক চাপ প্রয়োগ করতো। উক্ত টাকা দিয়ে ঢাকায় একটি ছোট খাট ব্যাবসা ও বাসা নিয়ে থাকবে। দিদারের কথা মত কুসুম (০২জুন ২০২২) তারিখে বাবার বাড়ি হতে আসবাবপত্র নিয়ে আসে (০৩ জুন ২০২২) তারিখে স্বামীর সহিত ঢাকা চলে যায়, ঢাকায় গিয়ে তার স্বামীর পরকীয়ার সকল তথ্য কুসুম জেনে যায়, বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। (০৬ জুন ২০২২) দিদারের চাচাত ভাইয়ের সঙ্গে কুসুমকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। (০৭ জুন ২০২২) তারিখে রাত্রে দিদার গোপনে বাড়িতে এসে (০৮ জুন ২০২২) পারিবারিক লোকজনসহ কুসুমকে নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা প্রচারণা চালিয়ে আসল রহস্যকে ধামাচাপা চেষ্টা করছে তার স্বামী ও পরিবার। এই হত্যা কান্ডের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবী করেন।
এস.আই জাহাঙ্গীর জানান, খবর পেয়ে গৃহবধু কুসুমের ঝুলন্ত লাশ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করি। নিহতের স্বামী দিদার হোসেন পালাতক। বড় ভাই সুমনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে।
উক্ত বিষয়ে নিহতের ভাই বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন, মামলা নং- ০৩/৪৭,
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে, স্বামী ও শাশুড়, শাশুড়ি কাউকেই বাড়িতে পাওয়া যায়নি।