এম এ কাদের অপুঃ আনুমানিক দীর্ঘ ৩০ বছর আগে পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির পরেও জাল দলীল পেশ করে সামাজিকীকরণের মাধ্যমে জায়গা দখল করতে না পেরে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার মৈশাতুয়া ইউনিয়নের গোয়ালিয়ারা গ্রামে।
অভিযুক্ত মাওলানা নূরুল হুদা জানান, আমরা সম্পত্তি ক্রয় করেছি অভিযোগকারীর চাচার কাছ থেকে। তারা যদি সম্পত্তি পায় তবে উনার কাছে পাবে আমাদের কাছে কাছে নয়। তার করা অভিযোগ মিথ্যা,বানোয়াট, ভিত্তিহীন।
জানা যায়,অভিযোগকারী মহিলা কুসুম বেগম(৬০) বাড়িতে সব সময় ঝগড়া, বিবাদ, কাজিয়ায় লিপ্ত থাকে।অবৈধ সম্পত্তি পাওয়ার জন্য ক্রয় কারীদের সারাদিন গালিগালাজ করে এযেন চুরির উপর সিনা জুরি! এই কুসুম বেগমকে ইন্দন দিচ্ছে সামাজিক বিভিন্ন দায়িত্ববান কিছু ব্যাক্তিবর্গ।
অভিযোগের আরেক আসামী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত ব্যাক্তি, বিভিন্ন সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দায়িত্বশীল, সাংবাদিক এবং লেখক ।
মোস্তাফিজ জানায়, গত পরশু দুপুর বেলা আমার বাবাকে ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, খারাপ ভাষা ব্যবহার করে। আমি গিয়ে প্রতিবাদ করি। এবং মহিলাকে থামতে বলি। এক পর্যায়ে এই মহিলা ঘরে প্রবেশ করে দা,লাঠি নিয়ে এসে আমাদের মারধর করার জন্য।
আমি পেছনে পেছনে ঘরে প্রবেশ করি তাকে থামানোর জন্য। কারণ এই মহিলার মেজাজ প্রচন্ড খারাপ। প্রায় পুত্রবধু এবং বিবাহিত দুই ছেলেকে নির্যাতন করে, পরে বাড়ির সবাই এসে ঐ মহিলাকে আয়ত্তে আনে। এরপর দিন থানায় গিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে, বিশেষ করে আমি নাকি শ্লীলতাহানি করেছি ৬০ বছরের এই বৃদ্ধা মহিলাকে!
থানায় আলামত স্বরুপ নিজের জামা কাপড় নিজে ছিঁড়ে প্রমাণ দাখিল করে।
মনোহরগঞ্জ থানার এসআই সফিকুর রহমান তদন্তে এলে বাড়ির প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঐদিন আমরা ছিলাম এমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কুসুম বেগম এবং তার মা গালিগালাজ, ঝগড়ার সুত্রপাত সৃষ্টি করে এবং কোন প্রকার গায়ে হাত দেওয়া বা শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেনি বলে কোন স্বাক্ষীও পাওয়া যায়নাই।
মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ আরোও জানায়, সোসাইটিতে আমার একটা ইমেজ আছে। সাংবাদিকতা করি, স্বেচ্ছাসেবী কাজ করি, নারী উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নের জন্য লাকসাম মনোহরগঞ্জে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডসহ সামাজীক কর্মকাণ্ডে নারীর জন্য কাজ করি। অথচ আমি সহ আরো কয়েকজনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে অযথা হয়রানী করছে আমাদের।