মনস্বী শিক্ষাবিদ্,বহুবিধ গ্রন্থপ্রণেতা ও পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ডাঃ সুনীল কান্তি বিশ্বাস

আরো চট্টগ্রাম শিক্ষা শিক্ষা সাহিত্য সারাদেশ সাহিত্য
শেয়ার করুন...

মিলন বৈদ্য শুভ, চট্টগ্রাম, রাউজান থেকেঃ
তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী,
আমি অবাক হয়ে শুনি কেবল শুনি-(কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ)
গবেষণাধর্মী ও সৃষ্টিশীল জীবন গঠনের মাধ্যমে জগতে যে সব নিভৃতচারী জ্ঞানসাধক তাঁদের প্রজ্ঞা,মেধা,
সৃজনশীল চিন্তাধারা ও পরিশুদ্ধ কর্মের মাধ্যমে শিক্ষা,স্বাস্থ্যতথ্য,সেবা,
লেখালেখি,প্রকাশনা ও মানব হিতকর কার্যকলাপে তথা প্রতিটি কল্যাণকর কর্মে নিজের যোগ্যতা ও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম বহুমাত্রিক প্রতিভার সামষ্টিক ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত প্রফেসর ডাঃ সুনীল কান্তি বিশ্বাস।
মহান স্রষ্টার সৃষ্ট বিশ্বসংসারে সত্যান্বেষী ব্যক্তিদের সংখ্যা স্বল্প হলেও যুগে যুগে তাঁদেরই মূল্য সর্বাদিক। সবক্ষেত্রে অসত্যের পূজারী বেশী হলেও তাতে সত্যের কোন মূল্যহীনতা ঘটেনা।কারণ সংখ্যা বা পরিমাপ দ্বারা সত্যকে বিচার করা যায়না। সমাজ প্রকৃতপক্ষে সত্যান্বেষী এই স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তির অবদানে পরিপুষ্ট। সত্যান্বেষী,সত্যভাষী ও ঐশী চেতনার অকৃত্রিম ধারক-বাহক,বহুমুখী গবেষক শ্রদ্ধেয় সুনীল কান্তি বিশ্বাস স্যার সোনার বাংলার বীর চট্টলার বিপ্লবতীর্থ ঐতিহ্যবাহী রাউজান উপজেলার ধর্মঋদ্ধ আধারমানিক গ্রামে ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা স্বর্গীয় সুধাংশু বিমল বিশ্বাস ছিলেন একজন আলোকিত চেতনার সমাজহিতৈষী ও শিক্ষানুরাগী এবং মাতা রত্নগর্ভা শ্রীমা সুরবালা বিশ্বাস ছিলেন একজন আলোকিত ও মহীয়সী রমনী।
চট্টলার সম্পদ,মনস্বী শিক্ষাবিদ্,গবেষক,
মানবহিতৈষী ও বহুবিধ গ্রন্থপ্রণেতা শ্রদ্ধেয় শ্রীবিশ্বাস স্থানীয় পশ্চিম কদলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে প্রাথমিক শিক্ষা,১৯৬০ সালে রাউজান
আর.আর.এ.সি ইনস্টিটিউট হতে ম্যাট্রিকুলেশন(এস এস সি),১৯৬৩ সালে
প্রাচীনতম শিক্ষাঙ্গন কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ হতে এইচ এস সি,১৯৬৬ সালে একই কলেজ হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বি.এ; ১৯৬৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম এ(বাংলা-১ম বর্ষ); সমাপ্ত করেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড ঢাকার আওতাধীন চট্টগ্রাম ডাঃ জাকির হোসেন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হতে ১৯৭৬ সালে বোর্ডস্টেন ও সরকারি বৃত্তি সহ কৃতিত্বের সাথে ডি.এইচ এম.এস, ঢাকা ডায়ানমিক ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট হতে ১৯৭৮ সালে ই.কে.
এম.এস কোর্স,
বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড ঢাকার আওতাধীন সীতাকুণ্ড শঙ্কর মঠ ব্রহ্মানন্দ সংস্কৃত কলেজ হতে ১৯৮০-৮৩ সালে কাব্য ও ব্যাকরণ তীর্থ এবং ঢাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- সেকেন্ডারি এডুকেশন ও হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রজেক্ট কর্তৃক ১৯৯০ সালে ইংরেজী ও বাংলা বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেন।
কর্মজীবনে তিনি ১৯৬৩-৬৭ সাল পর্যন্ত আধারমানিক উচ্চ বিদ্যালয়ে,১৯৬৮-৭২ সাল পর্যন্ত আবুরখিল অমিতাভ উচ্চ বিদ্যালয়ে,১৯৭৩-২০০৪ সাল পর্যন্ত নোয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অত্যন্ত সততা,
দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতার মহান পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড ঢাকার আওতাধীন চট্টগ্রামের চকবাজারস্থ আজিজুর রহমান হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১৯৮০-১৯৯৯ পর্যন্ত মেডিসিন বিভাগে অত্যন্ত গৌরবের সাথে মেডিসিনের অধ্যাপক হিসেবে কর্তব্য পালন এবং সুদীর্ঘ বৎসর বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বাংলা,
ইংরেজী ও সনাতন ধর্মের পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নিভৃতচারী জ্ঞান সাধক প্রফেসর ডাঃ সুনীল কান্তি বিশ্বাসের এ পর্যন্ত তত্ত্ব সমৃদ্ধ বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণাধর্মী প্রায় পঁচিশ
(২৫)টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। যেগুলো হলো-বাঙ্গালীর ভাষা ও রচনা
(১৯৮৮),সমাসের ছড়া
(১৯৮৩),কারকের ছড়া
(১৯৮৩),সমবেত প্রার্থনা
(১৩৯৭বাংলা),ছন্দে বাগধারা(১৯৮৫), A Good English Grammar Translation &Composition(১৯৯৫,
৯৬,৯৭), Noun এর ছড়া(১৯৮৫),Article এর ছড়া(১৯৮৫),
Narration এর ছড়া
(১৯৮৫),Voice এর ছড়া(১৯৮৫),সহজ সংস্কৃত ব্যাকরণ(১৯৯০),
শ্রীগীতায় সনাতনী জিজ্ঞাসা(১৯৯৯,২০১৩),ব্যাবহারিক সনাতন ধর্মতত্ত্ব(১৯৯৯),
ব্যাবহারিক বৈদিক ধর্মশিক্ষা(১৯৯৯),
হিন্দুধর্ম শিক্ষা(১৯৯৯),
ব্যাবহারিক হিন্দুধর্ম জিজ্ঞাসা(১৯৯৯),ছন্দে বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা শৈলী(২০০৩),Learning Tense In Tune & Rhythm(২০০৩),শ্রীমা সেবা ব্রতকথা ও পূজা বিধি(২০০৫),শ্রীমা শরণম্(২০০৫),স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ সাধন সঙ্গীত(২০০৮),সনাতন ধর্মতত্ত্ব(১৩৯২ বাংলা), মহাত্মা স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ পাঁচালী ও পূজাবিধি (২০১৩),
মহাযোগী বাবা লোকনাথ লীলা কীর্তন(২০১০),
স্বামী সুরেশ্বরানন্দ ভজন সঙ্গীত(২০১৩),বুদ্ধ কীর্তনামৃত(১৪২৩ বাংলা),চলমান প্রকাশের পথে A Wonderful Book of Learning In Tune & Rhythm English Grammar,মাতৃ-ভক্তি(মা বিষয়ক গবেষণা গ্রন্থ),
জগতের অপ্রতীম ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য(কর্ম জীবন মূল্যায়ণ গ্রন্থ),মুজিব শতক(জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মজীবন নিয়ে নিবেদিত কাব্যগ্রন্থ),ছন্দে দ্বাদশ
(বায়োকেমিক গবেষণা),শ্রীমা সংগীত
(মা বিষয়ক সঙ্গীত গ্রন্থ),
RHYTHM(৫০টি ইংরেজি কবিতার সমন্বয় গ্রন্থ),
আত্ম-জাগরণ(সুনীল প্রবন্ধ সংকলন),
শাশ্বতী(সুনীল কাব্যগ্রন্থ),
দেব-দেবীর অধ্যাত্ম গবেষণা সহ অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপির সংখ্যা প্রায় ৫০টি।
বাংলা,ইংরেজি ও সংস্কৃত ভাষার অনন্য পাণ্ডিত্য অর্জনকারী বাগ্মীপ্রবর শ্রীবিশ্বাস স্যার বুদ্ধির বয়স হতেই বিভিন্ন ধর্মীয়,সাহিত্য,
সাংস্কৃতিক,স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণকামী সেবামূলক সংগঠন ও কর্মকাণ্ডের সাথে সু সম্পৃক্ত। মাতৃজাতির সর্বাঙ্গিন কল্যাণে ও গৃহস্থ্যাশ্রমের মধ্যে প্রকৃত শান্তি এবং সন্তান কর্তৃক নিজমাকে প্রকৃত শ্রদ্ধা-ভক্তি-সেবা-পূজার মনোবৃত্তি আনয়নে সদা নিবেদিত একজন সত্যিকারের মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্ব তিনি। বহু তত্ত্ব-তথ্য-উপাত্ত অনুশীলন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে অবগত হয়ে জানতে পারি যে,উপমহাদেশে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি দৈববাণীতে আদিষ্ট হয়ে ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দ হতে ২০০০ খ্রিস্টাব্দ তথা সুদীর্ঘ বিশ বৎসর পর্যন্ত প্রতি বাসন্তী নবমী তিথিতে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে বহু বিদগ্ধ জ্ঞানী,গুনী ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের অনুপম উপস্থিতিতে নিজ গর্ভধারিণী রত্নগর্ভা শ্রীমা সুরবালা বিশ্বাসকে সাক্ষাৎ ভগবতী জ্ঞানে পূজা করেছেন এবং মাতৃ বিয়োগের পরবর্তীতে মাতৃসাধক সুনীল স্যারের একান্ত আত্মত্যাগ,
সুপ্রচেষ্টা,অনুপ্রেরণায় শ্রীমা-তীর্থাঙ্গনে উপজেলা রাউজান,
রাঙ্গুনিয়া,হাটহাজারী,
ফটিকছড়ি,কুলগাঁও এর বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের প্রায় দুইহাজার(২০০০) সন্তান সন্ততিকে দিয়ে মাতৃ-সন্তান মিলন মেলা,
শ্রীশ্রী সন্তান মঙ্গল শ্রীমা মহাসম্মেলন ও শ্রীশ্রীগর্ভধারিণী মাতৃপূজা শিরোনামে বিভিন্ন সময়ে স্ব স্ব সন্তান কর্তৃক স্ব স্ব গর্ভধারিণী মাকে পূজা তথা জীবন্ত মায়ের পূজা করিয়েছেন।
গর্ভধারিণী মাতৃ পূজা তথা জীবন্ত মায়ের পূজান্দোলনের অনিন্দ্য সুন্দর প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত প্রফেসর ডাঃ সুনীল কান্তি বিশ্বাস নিজ উপজেলা রাউজানের প্রথম গীতা সংঘ ‘উত্তর আধারমানিক শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা সংঘ(১৯৬০)’ সহ চলমান জীবনে প্রতিষ্ঠা করেছেন বহু জনহিতকর প্রতিষ্ঠান।
তন্মধ্যে….শাশ্বত সংঘ
(১৯৬৪),জ্ঞান প্রকাশিনী গীতা সংঘ(১৯৬৭),গরীব রোগী সেবা প্রকল্প (১৯৮০-২০০০),
শ্রীশ্রীগর্ভধারিণী মাতৃ পূজা(১৯৮০-২০০০),
শ্রীমা হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র (১৯৯৮-২০০০),শ্রীগীতা প্রশিক্ষণ সংস্থা
(১৯৯৪-২০০০), শ্রীমা সংগীত বিদ্যাপীঠ
(১৯৯০-২০০০), বাংলাদেশ স্কুল ভিত্তিক ইংরেজি-বাংলা ব্যাকরণ-হোমিও-মাতৃভক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
(২০০৪-২০১০),মেসার্স রত্না মেডিকো(২০০৫),
শ্রীমা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র
(২০০৫-২০০৮), শ্রীমা হোমিও চিকিৎসালয়
(২০০৮-বর্তমান) শ্রীশ্রীপার্থসারথী গীতা সংঘ(১৯৭০-১৯৮০),
শ্রীকৃষ্ণ গীতা বিদ্যাপীঠ
(১৯৯৬-২০০০),
নবারুণ গীতা সংঘ
(১৯৯৭-২০০২),
শ্রীমা-জ্যোতিশ্বরানন্দ বৈদান্তিক বিদ্যাপীঠ
(২০০০-২০০২),শ্রীমা সুরবালা সুধাংশু স্মৃতি প্র্যাক্টিক্যাল হোমিও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
(১৯৯০-২০০০),
ডলিস্মৃতি হোমিও ক্লিনিক(১৯৯৫),ঐশী হোমিও ক্লিনিক(১৯৯৫),
শ্রীমা গণশিক্ষা কার্যক্রম
(২০০০-২০০১),শ্রীশ্রী
আদ্যামা গীতা সংঘ
(২০০১-২০০৫),শ্রীশ্রী
দুর্গামা গীতা শিক্ষালয়
(১৯৯৯-২০০৩),শ্রীমা সুরবালা সুধাংশু মেমোরিয়াল হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়
(২০০০),শ্রীমা-লোকনাথ গীতা সংঘ (২০০৪-২০০৭),
মাতৃ-ভক্তি সাংস্কৃতিক ফোরাম(২০০৮-২০১৫),ঘরে বসে শ্রীগীতা শিক্ষা কার্যক্রম(২০০০-২০১৫),সন্তান মঙ্গল শ্রীমা মহাসম্মেলন
(২০১১-২০১৫)
শ্রীশ্রীরামঠাকুর-কালী-চণ্ডী-শ্রীমা গীতা শিক্ষালয়(২০১৫-২০১৮)
শ্রীশ্রীসিদ্ধেশ্বরী গীতা সংঘ(২০০৩-২০০৭),
শ্রীমা ইংলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র(২০০৪-২০১৫),
মাতৃ-সন্তান মিলন মেলা
(২০০১-২০১০) সহ অসংখ্য মানব কল্যাণকামী প্রতিষ্ঠানের তিনি প্রতিষ্ঠাতা,
উদ্যোক্তা ও অনুপ্রেরণাদাতা এবং শ্রীশ্রীগীতা বাণী প্রচার বোর্ড,পত্নীত্বে-মাতৃত্ব ভাবোৎসব উদযাপন পরিষদ ও শ্রীশ্রীসর্বধর্ম সদগুরু সমন্বয় জ্ঞানোৎসব উদযাপন পরিষদের স্বপ্নদ্রষ্টা।
জীবনের বিভিন্ন সময়ে শত ব্যস্ততার মাঝেও একনিষ্ঠতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন বহুমুখী সেবা,সাহিত্য,
সাংস্কৃতিক ও কল্যাণমুখী সংগঠনে। তন্মধ্যে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- বাংলাদেশ জাতীয় মাতৃভক্তি উদযাপন পরিষদ,প্রাক্তন সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা-উত্তর অাধারমানিক শান্তি সমিতি,প্রধান উপদেষ্টা-শুভম্ মিউজিক্যাল গ্রুপ,
প্রাক্তন সাহিত্য সম্পাদক-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য বিভাগ,প্রাক্তন উপদেষ্টা-বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাউজান উপজেলা দক্ষিণ,বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটি রাউজান উপজেলা সংসদ,
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল এসোসিয়েশন চাঁন্দগাও থানা শাখা,
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল সোসাইটি রাউজান শাখা,
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী রাউজান,
রাউজান রাইটার্স ক্লাব,
বাংলাদেশ সংখ্যালঘু মানবাধিকার ফোরাম,
বাংলাদেশ সংখ্যালঘু বোর্ড কেন্দ্রীয় কমিটি,
জাতীয় লোকনাথ ভক্ত সম্মেলন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি,বাংলাদেশ লোকনাথ ব্রহ্মচারী ছাত্র-যুব-সেবক
পরিষদ,সাধক ভোলানন্দপুরী ভুবনেশ্বরী- কালী-গীতা মাতা সেবাশ্রম,ইয়াং স্টার রিক্রিয়েশন ক্লাব,
দক্ষিণ রাউজান সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠী,রাউজান নোয়াপাড়া পথেরহাট জি এস টাওয়ার ব্যাবসায়ী কমিটি,রাউজান পাঁচখাইন হরগৌরী সংঘ,শিক্ষাবিদ্ তেজেন-যোগেন স্মৃতি পাঠাগার,
নোয়াপাড়া ঐকতান সঙ্গীত একাডেমি,
শ্রীশ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু হিন্দু তীর্থ পর্যটন,সুপ্রভাত রাউজান পত্রিকা,
রাউজান একাডেমি চট্টগ্রাম,প্রাক সদস্য-বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম,
প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক-শ্রীমা-তীর্থ পত্রিকা,ঐশী ম্যাগাজিন, প্রাক সম্পাদক-মাসিক কল্লোল,কৃতি ম্যাগাজিন,বাণী প্রকাশনা,প্রাক বিভাগীয় সম্পাদক মাসিক সমাজ চিত্র,ইকরা,প্রাক সহ-সম্পাদক নিত্য আনন্দ ম্যাগাজিন।
মানবহিতৈষী শ্রদ্ধেয় সুনীল স্যার দেশের বিভিন্ন দুর্যোগময় সময়ে স্ব উদ্যোগে তথা তাঁরই প্রতিষ্ঠিত শ্রীমা সুরবালা সুধাংশু মেমোরিয়াল হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়ের মাধ্যমে রাউজান,রাঙ্গুনিয়া ও হাটহাজারী উপজেলার প্রায় বহু স্কুল-কলেজ-কিন্ডারগার্টেন-মাদ্রাসা-গীতা বিদ্যাপীঠ,ধর্মীয় সাহিত্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ও অভিভাবকদের নামমাত্র মূল্যে ২০০০,
২০০৪,২০১২,২০১৪,
২০১৭,২০১৮ ও ২০১৯ সালে হাম,লুতি,বসন্ত, ডেঙ্গু রোগের হোমিওপ্যাথিক প্রতিষেধক ঔষধ বিতরণ করেছেন।
জ্ঞান ভাস্কর পণ্ডিত সুনীল বিশ্বাস স্যার অবসর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামের নিজ উপজেলা ও চট্টগ্রামের বাহিরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বাংলা ব্যাকরণ,ইংরেজি গ্রামার, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করণের মাধ্যমে বেকারমুক্ত সমাজ গঠনে ভূয়সী ভূমিকা পালন করেছেন।
সমাজের বাতিঘর শ্রীবিশ্বাস স্যারের বহুমুখী প্রতিভা,গবেষণা,সুনিপুণ গঠনমূলক কর্ম,বহুগ্রন্থ প্রনয়ণ,চারিত্রিক গুণাবলি,জীবন্ত মায়ের মধ্যে দেবীত্বের উদ্বোধন,
সাহিত্য-সাংস্কৃতিক দক্ষতা,কবিত্ব,বাগ্মীতা,সংগীতানুরাগ,
নাঠ্যকারত্ব,অভিজ্ঞান,
পাণ্ডিত্য,বহুমুখী জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নিজ প্রজ্ঞানত্বকে সুপ্রকাশের দিব্য গুণাবলী অর্জন তথা বহুমাত্রিক কর্মাবলীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান,সংগঠন প্রধান,বিভিন্ন ধর্মীয়-সাহিত্য-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন তাঁকে জানিয়েছেন শ্রদ্ধাভিনন্দন ও সম্মাননা।
আখ্যায়িত করেছেন পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব,
মাতৃসাধক,ভক্তি-রত্ন,
ব্যাকরণের যাদুকর,
ব্যাকরণ শাস্ত্রী,
অপ্রতিম ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য,সরস্বতী,সমাজ পাদপ্রদীপ,মনস্বী শিক্ষাবিদ্,সার্বভৌম,
সাধক জ্যোতি,
সদ্ধর্মপ্রচারক,প্রজ্ঞাদীপ্ত মাতৃভক্ত, শ্রেষ্ঠ আলোকিত শিক্ষক,
দেবশিশু,ছান্দিক ব্যক্তিত্ব,প্রখ্যাত গীতা ব্যাখ্যাতা সহ বিভিন্ন সম্মানীয় উপাধিতে বিভূষিত ও পুরস্কৃত। এখনো ছাত্র-শিক্ষক-শুভাকাঙ্খী সহ সর্ব মহলে তিনি ”পণ্ডিত স্যার” হিসেবেই সমধিক পরিচিত।
বুদ্ধির বয়স হতেই শত অভাব অনটন ও দারিদ্রতার সঙ্গে পাঞ্জা নড়ে উঠে আসা,শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ক্লাসে প্রথম হওয়া আবাল্য সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ব্রতী সংগ্রামী সুনীল বিশ্বাস এক সময় দেশের বিভিন্ন দৈনিক,সাপ্তাহিক,
পাক্ষিক,মাসিক,বার্ষিক পত্র পত্রিকা ও সাময়িকীতে নিয়মিত লিখতেন। এছাড়াও ব্যক্তিজীবনে সম্পাদনা করেছেন প্রায় ১০টি ম্যাগাজিন,অসংখ্য দেয়ালিখা ও প্রায় আড়াই হাজার(২৫০০)’র অধিক শ্রীমা সঙ্গীত,
দেশাত্মবোধক গান,
ভক্তিগীতি,কবিগান,মহামানবের লীলাকীর্তন,
কৃষ্ণকীর্তন,ইসলামিক গান,বৌদ্ধ কীর্তন,খ্রিষ্ট্রীয় সংগীত,আঞ্চলিক ও ইংরেজী গান।

আমি মহান স্রষ্টার রাতুল চরণে মনস্বী শিক্ষাবিদ্,
গবেষক,বহুবিধ গ্রন্থপ্রণেতা,মানবহিতৈষী পণ্ডিত প্রফেসর ডাঃ সুনীল কান্তি বিশ্বাস(৮৩) স্যারের সুস্বাস্থ্য,নিরোগ জীবন ও দীর্ঘায়ু প্রার্থনা করছি এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছে এই শাশ্বত চেতনার নিভৃতচারী মহৎ গুনী ব্যক্তিত্বকে জাতীয় মহান একুশে পদকে ভূষিত করার বিনম্র জোর দাবি জানাচ্ছি। জয় হোক সত্য সুন্দরের,জয় হোক সাধক সুনীল স্যারের।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.