সম্রাট সিকদার, মতলব থেকেঃ চাঁদপুরের মতলবে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে গ্রীষ্ম মৌসুমের জনপ্রিয় পুষ্টিগুণ সম্পন্ন রসালো জাতীয় ফল কাঁঠাল। যদিও পুরো পাঁকা পুক্ত হয়নি এখনও বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি এলাকার গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে রসালো ফল কাঁঠাল। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মেঘনা ধনাগোধা সেচ প্রকল্পের চতুর দিকে বেরীবাধ থাকায় এবং বর্ষা না হওয়ায় নিচু জমিতেও বাড়ি ঘর নির্মান করে কাঁঠাল গাছ রোপন করছে। ফলে দিনে দিনে কাঁঠাল গাছ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়ির পাশে, রাস্তার ধারে, জঙ্গলের ভেতরে থাকা গাছে ধরেছে প্রচুর পরিমানে কাঁঠাল। গাছের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত শোভা পাচ্ছে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফল।
এখানকার মানুষের অতি প্রিয় ফল হিসেবে কাঁঠালের কদর পেয়ে আসছে। কাঁঠালের বিচিও একটি তরকারি। বিশেষ করে কাঁঠালের বিচি দিয়ে তৈরি ভর্তা সকলের অত্যন্ত প্রিয়। বিভিন্ন ধরনের শাক ও কাঁঠালের বিচির সমন্বয়ে রান্না করা তরকারি এ এখানকার মানুষ তৃপ্তির সঙ্গে ভাত খেতে পারে। তাছাড়া গবাদিপশুর জন্যও কাঁঠালের ছাল উন্নতমানের গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এক প্রকারের সবুজ রঙের সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফল। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসাবে সরকারীভাবে নির্ধারিত।
বাংলাদেশের সর্বত্র কাঁঠাল গাছ পরিদৃষ্ট হয়। কাঁঠাল গাছের কাঠ আসবাবপত্র তৈরির জন্য সমাদৃত। কাঁঠাল পাতা বিভিন্ন প্রাণীর পছন্দের খাদ্য। এই ফলের বহির্ভাগ পুরু এবং কান্টকাকীর্ণ, অন্যদিকে অন্তরভাগে একটি কান্ড ঘিরে থাকে অসংখ্য রসালো কোয়া।
কাঁঠালের কোনো অংশই পরিত্যক্ত থাকে না। কাঁঠাল যেমন জনপ্রিয়, কাঁঠালের বিচি ও খুব জনপ্রিয় খাবার। বিভিন্ন সবজির সাথে কাঁঠালের বিচি মিশিয়ে ছোট মাছ দিয়ে রান্না করা তরকারি, শুটকি মাছের সাথে কাঁঠালের বিচি আর ভর্তা এ রকম অসাধারণ সব স্বাদের খাবার তৈরিতে কাঁঠাল বিচি আলুর বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কাঁঠালের কদরও বহুগুণের এমন কথা জানালেন কাঁঠালপ্রেমি প্রবীণ ব্যক্তিরাও।
বহুগুণ সমৃদ্ধ এ কাঁঠাল এখানকার হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তবে জ্যৈষ্ঠের শেষ ও আষাঢ় মাসের শুরু থেকে এখানকার হাট-বাজারে কাঁঠাল কেনাবেচা শুরু হবে পুরুদমে। এমনটি আশা করছে কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “এ উপজেলায় তেমন একটা কাাঠালের বাগান নেই তবে দিন দিন সবার বাড়িতে সবাই কাঁঠাল গাছ রোপন করছে। এ বছর উপজেলায় কাঁঠাল ভালো হয়েছে। দিন দিন মানুষের কাঁঠালের চারা রোপনের আগ্রহ বাড়ছে।”