বুধবার সকাল ১০ টায় উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাতানখালি গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহীম মাষ্টরের বাড়িতে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে বেলা ১২ টায় ওই যুবকের মরদেহের সুরতহাল রির্পোট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ।
আত্মহত্যাকারী যুবক হলেন, উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও চরগোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ ইব্রাহীম মাষ্টারের ছেলে মো. নাজিম (২২)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নতুন মোটরসাইকেল কিনে দেওয়া নিয়ে পরিবারের সাথে কলহের সৃষ্টি হয় মৃত নাজিমের। এনিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ওই যুবকের সাথে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঝগড়ার পাশাপাশি মারামারি সংঘটিত হয়। পরে বুধবার ভোর রাতে অভিমানে নিজ বাড়ির নতুন নির্মিত টিনসেড ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে নাজিম।
এদিকে মোটরসাইকেল ক্রয় ও মারামারির বিষয়টি অস্বীকার করে বড় ভাই নাহিদ জানান, গত কয়েকদিন ধরে নাজিম হঠাৎ ঘরে আসে না। মঙ্গলবার রাতে ঘরে আসলেও কোন খাবার খায়নি। পরে বুধবার সকালে নতুন নির্মিত আধাপাকা টিনসেড ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
তবে কি কারনে নাজিম পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছে তা বলতে রাজি নন বড় ভাই নাহিদ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, পারিবারিক কলহের জেরে নাজিম আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রির্পোটে ওপর নির্ভর করে পরবর্তী আইনে প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।