বুটেক্স একাত্তর সাংস্কৃতিক সংঘের নেতৃত্বে ইমন ও সপ্তক

আরো ঢাকা পরিবেশ শিক্ষা সারাদেশ
শেয়ার করুন...

আজওয়াদ আবরার পিয়াল, বুটেক্স প্রতিনিধি
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) একাত্তর সাংস্কৃতিক সংঘের কার্যকরী কমিটি ২০২৫-২৬ গঠন করা হয়েছে। এবার ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইমন দাশ। এবং একই ব্যাচের ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সপ্তক বড়ুয়া নির্বাচিত হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।

১৩ই অক্টোবর সোমবার রাতে বুটেক্স একাত্তর সাংস্কৃতিক সংঘের মডারেটর বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাথমেটিক্স অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কাউসারুল ইসলাম কার্যকরী কমিটি ২০২৫-২৬ প্রকাশ করেন।

কার্যকরী কমিটির সহ-সভাপতি হয়েছেন আকিব শাহেদ, আবদুল্লাহ আল মাসুম তীব্র, মাহফুজুল হাসান অভি, নাজমুস সাকিব, জাফরিন মোসতারি জোয়া, দীপ্ত সেন গুপ্ত। এছাড়াও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন প্রদ্যুৎনো পুরোহিত প্রত্যয়, মাইশা হাসান তাহানি, তৌহিদ ই এলাহী শাফি, সামিউল মাহি, এ এস মাহি চৌধুরী।

অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে নবগঠিত কমিটির সভাপতি ইমন দাশ বলেন, “বুটেক্স জীবনের শুরু থেকে একাধিক ক্লাবিং করতে করতে কবে বড়ো হয়ে গেছি, টেরই পাইনি। এই যাত্রায় সঙ্গে থাকা সকলের প্রতি আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ— তাদের কারণেই আজকের আমি। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য একদিকে গর্বের, অন্যদিকে কৃতজ্ঞতার বিষয়। সিনিয়রদের দিকনির্দেশনা আর কাছের মানুষের ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণাই আমাকে এখানে এনেছে।”

এছাড়াও ক্লাবটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি জানান, “আমি বিশ্বাস করি একটি ক্লাবের সবচেয়ে বড়ো শক্তি তার সদস্যরা— বিশেষ করে জুনিয়ররা। তাদের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমেই একাত্তর সাংস্কৃতিক সংঘ, বুটেক্স আজকের অবস্থানে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য শুধু ক্যাম্পাস নয়; একাত্তর সাংস্কৃতিক সংঘ, বুটেক্সের নাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া। একসঙ্গে কাজ করে আমরা প্রমাণ করব— একাত্তর মানেই ঐক্য, সংস্কৃতি আর সৃজনশীলতার স্পন্দন।”

সাধারণ সম্পাদক সপ্তক বড়ুয়া মিছিল বলেন, “প্রথমত আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, ক্লাবের প্রাক্তন সব সদস্য, সিনিয়র ভাইদের যারা আমার উপর আস্থা রেখেছে এবং একইসাথে মডারেটর কাউসার স্যারকে। এটি শুধু পদ নয়, একই সাথে দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক চেতনা, সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করার। ছোটোবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে আরো বেশি সম্পৃক্ত থাকার সুযোগ হয়েছে। সিনিয়র ভাইদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এসবই আমার কাছে অনুপ্রেরণা। আমরা ক্লাবে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে চাই, যেখানে সবাই স্বাধীনভাবে সংস্কৃতি চর্চা করতে পারবে।”


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *