সেলিম চৌধুরী হীরাঃ মহামারী করোনার কারনে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে লাকসামে পালিত হতে যাচ্ছে স্বাধীনতা দিবস৷
প্রতি বছর সাপ্তাহ ব্যাপি বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হলেও এবারের চিত্র ভিন্ন৷
জানাযায়, প্রানঘাতী করোনা নিয়ন্ত্রনে রাখার লক্ষ্যে সীমিত আকারে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম সাজানো হয়েছে এবার৷
এর মধ্যে আগামী ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় লাকসাম উপজেলা পরিষদ মিলানায়তনে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা৷ সন্ধ্যা ৬টায় বেলতলী বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন৷
১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে উপজেলা পরিষদস্থ লাকসাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৩১ (একত্রিশ) বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস ২০২০ এর শুভ সূচনা৷
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ৷
সকাল সাড়ে ৬টায় (সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে) উপজেলা পরিষদ কেন্দীয় শহিদ মিনারে, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ও বেলতলী বধ্যভূমিতে পুষ্প—স্তবক অর্পণ ৷
সকাল ৮টায় উপজেলা পরিষদে (সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে) লাকসাম উপজেলা পরিষদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ স্কাউটস এর সীমিত উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন৷
সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযোদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভা (সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে)৷
দুপুর সুবিধামত সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন৷
বাদ যোহর সুবিধাজনক সময়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত ও জাতির শান্তি, সমৃৃৃৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে উপজেলার সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা৷
১০—৩১ ডিসেম্বর সুবিধামত সময়ে ভার্চুয়ালি (অনলাইন) বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বীরের কন্ঠে বীর কাহিনী প্রচার৷
১৫—১৬ ডিসেম্বর (সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান) লাকসাম উপজেলাধীন কেন্দীয় শহিদ মিনার, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধাসরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবন আলোক সজ্জিতকরণ৷