কুমিল্লা দক্ষিন জেলা প্রতিনিধিঃ
বিএনপি ভোট চায় না, তারা সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় আসতে চায়। এ জন্য নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত লাকসাম উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে গনসংযোগে অংশ হিসেবে পৌর ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে শান্তিপূর্ণ লাকসামে হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য প্রতিরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াসে গণসংযোগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আর এই নির্বাচন গণতান্ত্রিকভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিএনপি চায় জনগণের ভোটের অধিকার যেন প্রতিষ্ঠিত না হয়।
এ জন্য নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। যত ষড়যন্ত্রই আর বাধাই আসুক, সংবিধান অনুযায়ী পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, আগামীতে বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে।’
মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বিএনপি ভোট চায় না, তারা সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় আসতে চায়। যারা লুটপাট ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল জনগণ তাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বিএনপি ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস, লুটপাট, হত্যা ও জঙ্গিবাদ কায়েমের মাধ্যমে দেশে যে অরাজকতাময় পরিবেশ তৈরি করেছিল তার পুনরাবৃত্তি এ দেশে আর হবে না। মানুষ ঘৃনাভরে ঐ লুটেরাদের প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আগামীতেও জনগণ আন্দোলনে নামে সন্ত্রাসী বিএনপিকে সুযোগ দিবে না বলে দাবী করেন তিনি।
নিজের নির্বাচনী এলাকা লাকসাম-মনোহরগঞ্জে কাউকে লুটপাট, সন্ত্রাস ও কোনো প্রকার অত্যাচার করার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ার করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ৯৬ সালে এমপি হওয়ার আগে মনোহরগঞ্জে এক কিলোমিটারও পাকা সড়ক ছিল না। এখন আর কোনো রাস্তা পাকা ছাড়া নেই। উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি, যার সুফল স্থানীয় জনগণ পাচ্ছেন
মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি এসব পথসভায় আন্দোলনের নামে বিএনপিকে কোন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ না দেওয়ার জন্য লাকসামের জনগণকে তিনি আহ্বান জানান।
মোঃ তাজুল ইসলাম প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে হত্যা ও সন্ত্রাস ছাড়া আর কি অর্জন রয়েছে তা মানুষ জানে না। সম্প্রতি ছাত্রদলের সন্ত্রাসী কর্তৃক লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি অনিকের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি রাজনীতি হত্যার রাজনীতি তা আবারও প্রমানিত হয়েছে। তিনি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে কলুষিত করার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে বলেন, এখন তারাই আবার সেই ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চায় যাতে আবার তারা আবার মানুষকে ধোকা দিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধানের বাইরে বাংলাদেশে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনূস ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা, যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন শামীম, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, হাজী আলী আহমেদ, শহিদুল ইসলাম শাহিন, আবদুর রশিদ সওদাগর৷ আবদুল আউয়াল, নজরুল ইসলাম, ইমাম হোসের
আলামিন ইনস্টিটিউটের গণসংযোগ স্থলে আরো উপস্থিত ছিলেন ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনসুর আহমেদ, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাঈদ বাচ্চু, আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান জাহাঙ্গীর, যুবলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক রানা, সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন,জাহাঙ্গীর আলম,ছাত্রলীগ সভাপতি জুম্মান খান, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মিয়া