বানারীপাড়া পৌর শহরে ধ্বসে পড়লো নির্মাণাধীন রাস্তা

আইন-অপরাধ আরো পরিবেশ বরিশাল সারাদেশ
শেয়ার করুন...

রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥
বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে সন্ধ্যা নদীর তীরে প্রায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন রাস্তা ধ্বসে পড়েছে। বাংলাবাজার লঞ্চঘাট নির্মাণের লক্ষে সন্ধ্যা নদীর তীরে শহর রক্ষা বাধের আদলে গড়ে তোলা কার্পেটিং সড়কের সঙ্গে নদীর চরে বর্ষা মৌসুমে পানির মধ্যে এ সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, কাজের মান খুবই নি¤œমানের হওয়ায় রাস্তার নির্মাণ কাজ চলমান থাকার মধ্যেই গাইডওয়ালসহ রাস্তার একাংশ নদীর পানিতে ধ্বসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে এ রাস্তা নির্মাণ কাজের ঠিাকাদার ও পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেহেদী হাসান সুমন খান জানান, কয়েকদিন পূর্বে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ফেলতে গিয়ে গাইডওয়ালসহ রাস্তা ধ্বসে পড়েছে। টেন্ডার ছাড়াই তিনিসহ কয়েকজন কাউন্সিলর মিলে জনস্বার্থে সন্ধ্যা নদীতে বাংলাবাজার ট্রলারঘাট নির্মাণের জন্য ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের এ পাকা সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করে দিচ্ছেন। রাস্তা নির্মাণের পরে পৌরসভা থেকে তাদের বিল বরাদ্দ দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। তবে বানারীপাড়া পৌরসভার কার্য্যসহকারি নয়ন খান জানান, টেন্ডারের মাধ্যমেই ওই রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কাজের ব্যপারে ঠিকাদারকে এখন পর্যন্ত কোন বিল দেওয়া হয়নি বলেও তিনি জানান। এ বিষয়ে বানারীপাড়া পৌরসভার উপ-সহকারি প্রক্যেশলী আফিফা ইয়াসমিন জানান, পৌরসভার ১৬ লাখ ৭৫ হজার ২৯৬ টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে নদীর তীরে ওই রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পরে কাজের মান সন্তোষজনক হলে বিল দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে নদীর তীরে যে স্থানে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে শীতকালে লোদা চর জেগে উঠলেও বর্ষাকালে ৪/৫ হাত পানি থাকে। এ সংযোগ রাস্তা নির্মাণের ফলে নদীর স্বাভাবিক গতি ও পানিপ্রবাহ ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি পরিধিও কমে যাবে। এক পর্যায়ে নদীর এ বিশাল তীর দখলকরে চিহিৃত ভূমিদস্যুদের জন্য নানা স্থাপনা নির্মাণ করার সুযোগ তৈরী হবে বলে সচেতন মহল অভিমত ব্যক্ত করেছেন। অপরদিকে চলতি বর্ষা মৌসুমে বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে গভীর গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে এলাকাবাসীকে অন্তহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার ফলে এক পশলা বৃষ্টি হলেই পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ অনেকসড়কে হাটু পানির সুৃষ্টি হয়। পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় খাল ও ডোবানালায় ময়লা আর্বজনার ভাগাড় সৃষ্টি হয়ে এর পুতিদুর্গন্ধ ও এতে জন্ম নেওয়া হাজার হাজার মশার যন্ত্রনায় জনমনে নাভিশ^াস উঠেছে। প্রতিদিন হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। পৌরবাসী এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল বলেন, বানারীপাড়া বন্দর বাজারের ব্যবসা বানিজ্যের প্রসারতা ও জনস্বার্থে নদীর তীরে রাস্তাসহ বাংলাবাজার ট্রলারঘাটটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাজের গুনগতমানের জন্য বর্ষাকাল শেষ হলেই পৌরসভার রাস্তা-ড্রেন ও বাসস্ট্যান্ডসহ যাবতীয় উন্নয়ন কাজ শুরু করা হবে।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.