রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া (বরিশাল): ৭ অক্টোবর রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে ২৮ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিট পর্যন্ত ডিমওয়ালা মা ইলিশসহ সব ধরণের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। ফলে আজ ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বরিশালের বানারীপাড়া বন্দর বাজারে ইলিশ বিকিকিনির ধুম পড়ে যায়। সর্বোচ্চ ১২শত/ সাড়ে ১২ শত টাকা থেকে সর্বনিন্ম ৫- ৪শত টাকা পর্যন্ত কেজি দরে এসব ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হয়।
যদিও ইলিশ মাছের মান ও আকার সন্তোষজনক ছিলনা। সিংহ ভাগই ছিল বরফ দেওয়া জাটকা ইলিশ।
তদুপরি বাজারে ভোজন রসিক নারী-পুরুষ ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এছাড়া এদিন পৌর শহরের বন্দর বাজারে দিনভর ইলিশ মাছ কেনা-বেচা হয়। দিনে এক কেজির ওপরের সাইজের ইলিশ ১৫/১৬শত টাকা ও এক কেজি ওজনের মাছ ১৩/১৪শত টাকা দরে বিক্রি হয়। এছাড়াও আকার বেধে বিভিন্ন দরে মাছ ক্রয়-বিক্রয় হয়।
দীর্ঘ ২২ দিন হাট-বাজারে ইলিশের দেখা মিলবে না তাই ফ্রিজিং করে রেখে প্রিয় ইলিশের স্বাদ নিতে বাজারে দিনভর ছাড়াও সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে। সুযোগ সন্ধানী মাছ ব্যবসায়ীরাও নিষেধাজ্ঞা শুরুর পূর্ব মুহুর্তে বিক্রি করে অধিক
লাভের আশায় ইলিশ মজুদ করে রেখেছিল। এদিকে এ ২২ দিন ইলিশ শিকার ও ক্রয়-বিক্রয়ের পাশাপাশি মজুদও নিষিদ্ধ । সেক্ষেত্রে ৫/১০ কেজি করে যারা ক্রয় করে ফ্রিজিং করেছেন সেই অর্থে তারাও আইন লঙ্ঘন করেছেন। অপরদিকে
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিকার করা ইলিশ ক্রয় করে তা একত্রিত করে পূর্বে কিনে রেখেছেন বলেও অনেকে দাবি করবেন। এদিকে অভিযানের সফলতার স্বার্থে নিষেধাজ্ঞা শুরুর পূর্বের দিন-রাতে এভাবে ইলিশের বাজার বসিয়ে বিকিকিনির বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন ছিল বলে সচেতন মহলের অভিমত।