বানারীপাড়ায় বাইশারী কলেজে শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু ল্যাব সহকারিকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

আইন-অপরাধ আরো পরিবেশ বরিশাল সারাদেশ
শেয়ার করুন...

বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় বাইশারী সৈয়দ বজলুল হক কলেজের অভ্যন্তরীন পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক ও সহকারি অধ্যাপক খান মোঃ আল-আমিনের বিরুদ্ধে কলেজের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ল্যাব সহকারিকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই ল্যাব সহকারি বুধবার (২০ মার্চ) কলেজ গর্ভনিংবডির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি কলেজ গর্ভনিংবডির শিক্ষানুরাগী সদস্য অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহম্মেদকে প্রধান এবং উপাধ্যক্ষ ওবায়দুল হক ও সহকারি অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর পৌণে ১টার দিতে কলেজের পরীক্ষা দপ্তরে প্রভাষক শারমিন সুলতানাসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারির সঙ্গে বসে ওই ল্যাব সহকারি কথা বলছিলেন। এসময় সেখানে উপস্থিত হয়ে কলেজের অভ্যন্তরীন পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক ও সহকারি অধ্যাপক খান মোঃ আল-আমিন ওই ল্যাব সহকারিকে নাম ধরে ডেকে উপস্থিত সবার সামনে বলেন,তুমি এখানে বসে আছো,অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন চালাও না। তোমাকে কবিরাজি ওষুধ ও হোমিওপ্যাথি ডোজ দিয়ে চাঙ্গা করতে হবে। এতে অবিবাহিত ওই ল্যাব সহকারি লজ্জিত হন এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। তিনি লজ্জা ও অপমানে তাৎক্ষনিক পরীক্ষা দপ্তর থেকে চলে যান। বিষয়টি নিয়ে তার পরিবার ও কলেজে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও প্রভাব পড়েছে বলে দাবি করে ওই ল্যাব সহকারি সংখ্যালঘু নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কলেজ গর্ভনিংবডির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এ বিষয়ে কলেজের সহকারি অধ্যাপক খান মোঃ আল-আমিন বলেন এ আধুনিক যুগেও সে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না এ বিষয়টি তাকে বলেছি। আপত্তিকর কিছু বলিনি। তিনি শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্বে ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও দাবি করেন। এ ব্যপারে কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ এনামুল হক বলেন,সভাপতির নির্দেশক্রমে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তদন্তনাধীন বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। এ প্রসঙ্গে বাইশারী সৈয়দ বজলুল হক কলেজ গর্ভনিংবডি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক বলেন,ল্যাব সহকারির লিখিত অভিযোগ পেয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারী ও অভিযুক্তকে কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.