বানারীপাড়ায় প্রধান শিক্ষকের হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আইন-অপরাধ আরো বরিশাল সারাদেশ
শেয়ার করুন...

রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি
বরিশালের বানারীপাড়ায় নৈশ প্রহরী পদে চাকরি না পেয়ে উপজেলার ইলুহার বিহারী লাল একাডেমির প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন,সভা ও সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ইলুহার ইউনিয়নের সকল শিক্ষক,অভিভাবক ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইলুহার ইউনিয়ন প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, পূর্ব ইলুহার জসিম উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইয়াকুব আলী ,বলদিয়া মলুহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
মিহির কুমার: উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি একেএম মুজিবুর রহমান ,বাংলাদেশ টিসার্স এসোসিয়েশনের উপজেলা শাখার সভাপতি মো: আলী আজিম :ইলুহার জসিমউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ রেজা,
বানারীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের
সাবেক সহকারি শিক্ষক আঃ করিম,স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমটির সদস্য সিদ্দিকুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ। বক্তারা অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসী পিতা-পুত্রকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত,১৩ নভেম্বর সকালে স্কুলে যাবার সময় পথে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে ইলুহার বিহারী লাল একাডেমির প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মাহাবুবুর রহমানের ওপর ফ্লিমি স্টাইলে হামলা চালায় ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী চান্দু আকন ও তার ছেলে সজিব আকন। এতে তার ডান পা ও বাম হাত ভেঙ্গে যাওয়াসহ সারা শরীর রক্তাক্ত ও ফুলা জখম হয়।
এসময় তার সঙ্গে ব্যাগে থাকা পরীক্ষার ফিসহ স্কুল ফান্ডের ৮০ হাজার টাকা ও স্কুলের গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র নিয়ে যাওয়া ও মোটরসাইকেলটিও ভাংচুর করা হয়। তার ডাক চিৎকার শুনে এলাকাবাসি, স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সুধাংশু কুমার মন্ডল বাদী হয়ে ওইদিন রাতে উপজেলার ইলুহার গ্রামের চান্দু আকন ও তার ছেলে সজিব আকনকে আসামী করে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গত এক সপ্তাহেও আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী জানান আসামী পিতা-পুত্রকে গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।

image_pdfimage_print

শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.