রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥
বরিশালের বানারীপাড়ায় নাশকতা সৃষ্টি চেষ্টার অভিযোগে ৫টি ককটেলসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন : বানারীপাড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম ফারুক,উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের মহিষাপোতা গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ফকির,সদস্য নাসির ফকির,উপজেলার চাখার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সরদার,বানারীপাড়া পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি তুহিন মৃধা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য জন মোল্লা। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যপারে পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বানারীপাড়ায় থানায় মামলা দায়ের করেছে। এদের মধ্যে তুহিন মৃধা ও জন মোল্লা বানারীপাড়ার চিহিৃত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী । তারা এর আগে বিভিন্ন সময় র্যাব ও পুলিশের হাতে বিপুল পরিমান মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খাটেন। তুহিন মৃধা বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য সচিব রিয়াজ মৃধার ভাই। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের বরিশালে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী জানান,বুধবার রাত ৯টার দিকে বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি সড়কের বানারীপাড়ার কলেজমোড় এলাকায় গ্রেফতারকৃত ওই ৬ জনসহ বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাদের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিতে সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা,যানবাহন ও জানমালের ক্ষতিসাধন এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে নাশকতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিস্ফোরকদ্রব্যসহ সমবেত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে তারা পালানোর চেষ্টা করলে ৫টি ককটেলসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান। বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য ও বানারীপাড়া পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আ. সালাম দাবী করেন রাজনৈতিক হয়রাণির উদ্দেশ্যে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও বি®েফারক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে যোগদান করে বানারীপাড়ার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী-ক্যাডার আওয়ামী লীগ এবং পুলিশের সঙ্গে নয়াপল্টন,কাকরাইল ও বিজয়নগরসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে জড়ায়। সেখানে সেইদিন বানারীপাড়া বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্র্মী তাৎক্ষনিক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও বাকীরা পালিয়ে এলাকায় এসে স্থানীয় শান্তিময় পরিবেশ অস্থিতিশীল করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। ###