রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি
বরিশালের বানারীপাড়ায় সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর মিজানুর রহমান মেরুদন্ড,কিডনি ও হার্টের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্থাভাবে সুচিকিৎসা করতে না পেরে ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। গত প্রায় তিন বছর ধরে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল.ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল (পিজি) ও হলিফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনি তার মাত্র দু’কাঠার ভিটে জমিটুকু বিক্রি করে এখন ভূমিহীনের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছেন। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের উত্তরকুল (বাংলাবাজার ) গ্র্রামের ভিটেমাটিটুকু বিক্রি করে নিঃস্ব ও রিক্ত হয়ে তিনি পার্শ্ববর্তী সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার গ্রামে অন্যের বাড়িতে আশ্রিত হিসেবে ছাপড়া দেওয়া ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মানুষের আর্থিক সহায়তায় দু’মেয়েকে পাত্রস্থ করতে পারলেও তার বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম ঝালকাঠির নেছারাবাদ মাদ্রাসায় ফাজিল প্রথম বর্ষে ও ছোট ছেলে সাইদুল ইসলাম বানারীপাড়ার আউয়ার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে এবছর দাখিল পরীক্ষার্থী। নিজের জটিল রোগের চিকিৎসা ও দু’ছেলের লেখাপড়াসহ সংসারের ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে তাকে এখন দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করতে হচ্ছে। সুস্থ জীবনে তিনি একসময় দিনমজুরের কাজের পাশাপাশি মসজিদ নির্মাণে দানের টাকা তুলতেন। আবার কখনও আউয়ার বাজারে ফুটপাতে বসে তসবিহ,আতর ও টুপি বিক্রি করতেন। অসুস্থ হওয়ার পরে কোন কাজ করারই শক্তি নেই তার। স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে ও চলাফেরা করতেও কষ্ট হয়। সম্প্রতি ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে (পিজি) কিডনি ও মেরুদন্ডের চিকিৎসা করান তিনি। পরীক্ষা- নিরীক্ষা ব্যয় শেষে এখন ওষুধ কিনে খাওয়ার সঙ্গতি নেই তার। মিজানুর রহমান সুন্দর এ ধরণীতে আরও অনেক দিন বেঁচে থাকতে চান। দ’ুছেলে লেখাপড়া করে একদিন তার জীর্ণকুটির আলোকিত করবে, স্ত্রীসহ পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনের শেষ বেলায় একটু সুখের মুখ দেখবেন এ স্বপ্নকে ধারণ করে তার দ’ুচোখে বাঁচার করুন আকুতি। তাই তিনি তার সুচিকিৎসা ও ছেলেদের লেখাপড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মাদার অব হিউম্যানিটি শেখ হাসিনাসহ সমাজের সহৃদয়বানদের সহায়তা কামনা করেছেন। তার বিকাশ নম্বর- ০১৯৬০৪৮৬৩২৪ ।