বানারীপাড়া(বরিশাল) সংবাদদাতাঃ
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধা ও সচিব রুহুল আমিনের স্বাক্ষর জাল করে এক নারীকে জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়ায় পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ্- আল-মামুন ও স্থানীয় আউয়ার এস ইউ প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন। ২ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদেরকে আটক করে বানারীপাড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রুহুল আমিন বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ৩১ জুলাই রবিবার সকালে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মসজিদবাড়ী গ্রামের সাবিনা নামের এক নারী ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিকত্ব সনদ নিতে গেলে তার জন্মনিবন্ধনে সিল ও স্বাক্ষর দেখে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন ইউপি সদস্যের সন্দেহ হয়। এসময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, প্রতিবেশী আউয়ার এস ইউ প্রি- ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেনকে গত কয়েক মাস আগে জন্মনিবন্ধন করার জন্য বললে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে তার নিজস্ব লোক মারফত করে দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৩ শত টাকা নেয় এবং গত ৫ জুন জন্মনিবন্ধন তাকে দেয়। ওই সময় পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধা অনুপস্থিত ছিলেন পরে তিনি বিষয়টি জেনে ২ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় আউয়ার এস ইউ প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেনকে ডেকে জিঙ্গাসাবাদ করেন। প্রথমে অস্বীকার করলেও চেয়ারম্যান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহা ও থানার ওসি এসএম মাসুদ আলম চৌধুরীকে মুঠোফোনে জানালে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে সাখওয়াত হোসেন চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধার পা জড়িয়ে ধরে উদ্যোক্তার সহায়তায় স্বাক্ষর জাল করে ওই নারীকে জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়ার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেন। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অভিযুক্ত ওই দুজনকে আটক করে। এবিষয়ে আটক হওয়া সাখাওয়াত হোসেন জন্মনিবন্ধনে স্বাক্ষর জাল করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি চেয়ারম্যানের সই নকল করেছি কিন্তু চেয়ারম্যানের সিল ও সচিব রুহুল আমিনের স্বাক্ষর জাল করে সই দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
এ ব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহা ও থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি অবহিত করা হলে পুলিশ গিয়ে উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন ও শিক্ষক সাখওয়াত হোসেনকে আটক করে। ওই দুজনকে আসামী করে ২ আগস্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউপি সচিব বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচাজর্ (ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷