রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥
পবিত্র ঈদ-উল আযহার বাকি মাত্র কয়েকদিন। চলছে গরুসহ পশু ক্রয়-বিক্রয় । ঈদ-উল আযহায় বিক্রির লক্ষ্যে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাঙ্গালীয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সালাম দীর্ঘ চার বছর ধরে হল্যান্ডের ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি পরম যতেœ লালন পালন করছেন। ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ যে রাতে আঘাত হানে সেই রাতেই তার ফার্মে জন্ম নেয় গরুটি। এ কারণে গরুটির নাম রাখা হয় ‘ফণী’। ১২ ফুট চওড়া,সাড়ে ১০ ফুট বেড় ও ৬ ফুট উচ্চতার ফণীর ওজন ৩০ মণের বেশি হবে বলে দাবি খামারীর। এর মূল্য চাওয়া হয়েছে ২০ লাখ টাকা। বানারীপাড়া উপজেলায় এটি সবচেয়ে বড় গরু। তবে খামারীর দাবি এ বছর বরিশাল জেলায় এটার (ফণী) চেয়ে আর বড় কোন ষাড় গরু নেই।
পিতার সঙ্গে গরুর ফার্মের দেখভাল করেন চাখার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাকিল সুমন। ফণী ছাড়াও তাদের গরুর ফার্মে শাহিওয়াল জাতের একটি গাভী ও চারটি ফ্রিজিয়ান ষাড় গরু রয়েছে। ইউপি মেম্বার শাকিল সুমন জানান, ঝালকাঠির এক ক্রেতা কোরবানি দিতে গত তিন দিন পূর্বে গরুটি ক্রয় করার জন্য তাদের বাড়িতে এসেছিলেন। ওই ক্রেতা ফনীর দাম বলেছেন মাত্র ৭ লাখ টাকা। স্থানীয়ভাবে কাঙ্খিত মূল্য না পাওয়ায় দু’একদিনের মধ্যে ফণীকে তারা ট্রাকে করে চট্টগ্রামে কোরবানির গরুর হাটে নিয়ে যাবেন। গরুর খামারী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম জানান, অনেক যতœ করে তিনি পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে প্রস্তুত করেছেন ফণী নামের এ ষাঁড় গরুটিকে। প্রতিদিন ফণীর জন্য তার খরচ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকার মতো। প্রচন্ড তাপদাহের কারণে ফণীকে প্রতিদিন ৩-৪ বার গোসল করাতে হয়েছে। তাছাড়া সবসময় ফ্যানের (বৈদ্যুুতিক পাখা) মাধ্যমে তার বাতাসের ব্যবস্থা করতে হয়। ফণীসহ ফার্মের অন্যান্য গরুকে খৈল, ভুষি, ভুট্টা ও ঘাসসহ পুষ্টিকর বিভিন্ন খাবার খাওয়ানো হয়। এদিকে বৃহৎআকারের গরুটিকে দেখতে আব্দুস সালামের বাড়িতে প্রতিদিন উৎসুক লোকজন ভিড় করছেন।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোনামী রহমান বলেন,অনেক খামারি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু পালনে আগ্রহী। তবে আব্দুস সালাম ফ্রিজিয়ান গরু পালনে সফল খামারি। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা ফণী নামের গরুটিকে আমরা মনিটরিং করছি। তাছাড়া প্রত্যেক হাটে অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত গরু সনাক্তের জন্য মেডিকেল টিম কাজ করবে। ###