রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥ ভারতের সহকারি হাই কমিশনার মি.ইন্দরজিৎ সাগর বরিশালের বানারীপাড়ায় সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন দুর্গা মন্দির পরিদর্শন করেছেন। রোববার বিকাল ও সন্ধ্যায় তিনি বানারীপাড়া পৌর শহরের কেন্দ্রীয় সার্বজনিন দুর্গা মন্দির ও বন্দর বাজার কেন্দ্রীয় হরিসভা মন্দির পরির্দশন করে ভক্ত,অনুরাগী ও পুজারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন। রোববার বিকালে তিনি বানারীপাড়ায় এলে পৌর ভবনে পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করে উষ্ণ অর্ভ্যথনা জানান। পরে তিনি বানারীপাড়া কেন্দ্রীয় সার্বজনিন মন্দির পরিদর্শনে গেলে বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহে আলম তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করে স্বাগত জানান। এসময় ভারতের এ্যাসিট্যান্ট হাই কমিশনার মি. ইন্দরজিৎ সাগর শুভেচ্ছা বক্তৃতায় ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ ও জ্ঞানী-গুণীর চারণভূমি বানারীপাড়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত অবলোকন করে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক চেতনায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সৃষ্ট হওয়া ভারতের নিবিড় বন্ধুত্ব তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এ বন্ধন চির অটুট ও অম্লান থাকবে। এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম বলেন, হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বানারীপাড়া। এখানে দুর্গোৎসব উদযাপনের আনন্দ হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলে ভাগ করে নেওয়া হয়। এ সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে হবে। বানারীপাড়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ ও কেন্দ্রীয় সার্বজনিন মন্দিরের সভাপতি দেবাশীষ দাসের সভাপতিত্বে এছাড়াও এসময় জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বানারীপাড়া পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল বক্তৃতা করেন। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ শেষে ভারতের সহকারি হাই কমিশনার ইন্দরজিৎ সাগর ওইদিন সন্ধ্যায় বানারীপাড়া বন্দর বাজার কেন্দ্রীয় হরিসভা মন্দির পরিদর্শন করেন। এসময় বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গৌতম সমদ্দারসহ মন্দির কমিটি ও আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।