নাইমুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি-
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের নামে শিক্ষার্থীকে হেনস্তার দায়ে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত থাকায় রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য নামের আইন বিভাগের এক ছাত্রকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, র্যাগিংয়ের দায়ে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হিশাম নাজির শুভ ও মিজানুর রহমান ইমনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া একই বিভাগের ও একই শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাহউদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিবকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
ড. শাহাদৎ হোসেন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী র্যাগিংয়ের দায়ে দুই শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে এবং তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে স্থায়ীভাবে করা হয়েছে।”
এদিকে পাঁচ ছাত্রকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে তাদের সহপাঠীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেন। এ সময় তারা ‘আমার ভাই বহিষ্কার কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ভুয়া প্রশাসন ভুয়া বহিষ্কার’, ‘মানি না, মানবো না’, ‘ইবির আবিষ্কার, কিছু হলেই বহিষ্কার’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে প্রক্টরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নতুন এক শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ের নামে হেনস্থার অভিযোগ করেন। এরপর বিবিএ অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া গত ১০ জুলাই মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইউ মেডিকেল সেন্টারের জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে।