ববির এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফ্যান চুরি করে বিক্রির অভিযোগ

আইন-অপরাধ আরো বরিশাল শিক্ষা শিক্ষা সাহিত্য সারাদেশ
শেয়ার করুন...

মোঃ রেদওয়ানুর হক শুভ, ববি প্রতিনিধিঃ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বারোটি ফ্যান চুরি করে সেগুলো বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তি রেজিস্ট্রার দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। ভোলা রোড সংলগ্ন গেটের বেলা ১১টা ৭ মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের ইলেকট্রনিক মালামাল রাখা হয় ডাম্পিং হাউজ ও গেরেজের পাশের রুমে। এসবের তত্ত্বাবধানে আছেন ঐ কর্মকর্তা। আর এ সুযোগেই তিনি এসব কাজ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

গত শনিবার (২২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিনে এক হকারকে সাইকেলের পিছনে করে ফ্যান নিতে দেখে বাঁধা দেন এক আনসার সদস্য। পরে কর্মকর্তা এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ বলে ঐ হকারকে ভোলা রোড সংলগ্ন গেট দিয়ে বের করে দেন বলে জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিষয়টি জানাজানি হয় রোববার রাতে। পরে এনিয়ে তোলপাড় শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী আনসার সদস্য জানান, বন্ধের দিন সাইকেলে করে মালামাল নিতে দেখে সন্দেহ হয়। পরে গেট পাশ আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে ঐ কর্মকর্তা বলেন আমি এখানকার স্টাফ। মালামাল কোথায় নেয়া হচ্ছে প্রশ্ন করলে হকার বলে, দোকানে নিয়ে যাই। পরে ঐ কর্মকর্তা ঐ লোককে গেট পার করে দিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে চলে যান। মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহবশত একটা ছবি তুলে রাখেন ঐ আনসার সদস্যরা। পরে ক্যাম্পে এসে তাদের প্রধানকে জানান বিষয়টি। আনসার প্রধান বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এনিয়ে অভিযোগ দেন।

এ বিষয়ে আনসার সদস্যদের প্রধান মো সোলায়মান বলেন, বন্ধের পরের দিন আমি ক্যাম্পাসে আসলে এ বিষয়টি নিয়ে আমাকে অবহিত করা হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে৷ আমরা দায়িত্বের জায়গা থেকে সবসময় সচেতন থাকবো।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বলেন, এসব তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন৷ তিনি বলেন, এক দপ্তর অন্য দপ্তরের ভালো চায় না বলে এমন বানোয়াট অভিযোগ আনছে আমার বিরুদ্ধে৷

এ বিষয়ে প্রকৌশল দপ্তরের উপ প্রকৌশলী মো. মুরশীদ আবেদীন বলেন, আমাদের নষ্ট যে মালামালগুলো থাকে এটা আমরা এস্টেট অফিসারকে বুঝিয়ে দেই এবং তাদের কাস্টডিতে থাকে। এখান থেকে কোনো জিনিস মিসিং হলে বা নিয়ে গেলে তারাই ভালো জানবে। তবে শুনেছি যে ঐখান থেকে ১২ টি ফ্যান সরানো হয়েছে এবং আইটি দপ্তরে এর সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুপ্রভাত হালদার বলেন, মৌখিকভাবে বিষয়টি জানা গেছে এবং এটা নিয়ে প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে। আমরা অধিকতর তথ্য সংগ্রহ করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *