কাজী মোস্তফা রুমি, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।
তাই আজকের এই দিনে বাঙালির ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দক্ষিণ টাঙ্গাইলের আওয়ামী রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র, নাগরপুর-দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, ৯৬’র জনতার মঞ্চ আন্দোলনে রাজপথ কাঁপানো সাবেক তুখোড় ছাত্র ও যুবনেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সংগ্রামী সহ-সভাপতি জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু বলেন- বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল বাঙালির স্বাধীনতার শপথ। কারণ, ওই দিন ভাষণটি শোনার পর গোটা জাতি শপথ নেয় এবং দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছিলেন, ‘প্রতিটি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো, যার যা কিছু আছে, তা নিয়েই শক্রর মোকাবিলা করতে হবে। রাস্তাঘাট যা যা আছে…. আমি যদি তোমাদের হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা সব বন্ধ করে দিবে।’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু তৎকালীন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে এই ভাষণ দেন। ওই দিন সাড়ে ৭ কোটি মানুষ এই ভাষণ শুনে মুক্তিযুদ্ধের জন্য শপথ গ্রহণ করেন।
এই ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতি দল মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছে। বাঙালি জাতি পেয়েছে আত্মপরিচয় ও একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। আর দেশ পেয়েছে লাল সবুজের পতাকা।
তাই আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা, স্বাধীন বাংলার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।