মিন্টু ইসলাম শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুর দুগ্ধ ও গবাদিপশু উন্নয়ন খামারের গাছগুলো অবশেষে নিলামে(টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি) বিক্রি করে দিলেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় কার্যাদেশ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কর্তনকৃত গাছগুলো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করেন খামার কর্তৃপক্ষ। এতে করে সরকারের ঘরে প্রায় পৌণে দুই লাখ টাকা রাজস্ব জমা হয়েছে।
২ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরে দুগ্ধ ও গবাদিপশু উন্নয়ন খামারের সেই বিক্রিত গাছগুলো হস্তান্তরকালে এমনই তথ্য নিশ্চিত করেন খামারের উপ-পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন। দুগ্ধ ও গবাদিপশু উন্নয়ন খামার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে প্রায় ৫৩ একর জায়গা নিয়ে বগুড়া জেলার একমাত্র এই দুগ্ধ ও গবাদিপশু উন্নয়ন খামার গড়ে ওঠে। ঢাকা- রংপুর চারলেনে উন্নতিকরণ প্রকল্পকাজে খামার অংশে ভূমি অধিগ্রহন করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) দক্ষিণ এশিয়া উপ-আ লিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রকল্পের (সাসেক-২)। এতে খামারের পূর্ব অংশের ৮৫ শতাংশ জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। এর উত্তর-দক্ষিণ সীমানায় রয়েছে অর্ধশতাধিক গাছ। এর মধ্যে রয়েছে ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি, বেলজিয়াম ও মেহগনি। আইন অনুযায়ী গাছগুলোর মালিক খামার কর্তৃপক্ষ। এগুলো নিলামে বিক্রি করার কথা। তবে কোন প্রকার টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই গত মে মাসের শেষ দিকে ওই গাছগুলো কাটতে থাকে কতিপয় ব্যক্তিরা। কিন্তু গাছগুলো টেন্ডারবিহীনভাবে কাটতে থাকায় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ প্রায়। এতে নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট খামারের উপ-পরিচালক। তৎক্ষনাৎ বন্ধ করে দেয় গাছকর্তন ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে যাওয়া গাছগুলো ফেরত নিয়ে আসেন।
এরপর খামারের ওই গাছগুলো নিলামে বিক্রির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্বাহী বৃক্ষরোপসবিদ(আরবরি কালচার) সওজ এর অপারেশন ডিভিশন(পশ্চিমা ল) রাজশাহী কার্যালয়। বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ১৭টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ নিলামে অংশগ্রহন করে। এতে সর্ব্বোচ দরদাতা হিসেবে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৭৫ টাকায় গাছগুলোর বিক্রয়ের অনুমোদন পায় মেসার্স বকুল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বকুল মিয়া। সে মোতাবেক ২ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মুঞ্জুরুল আলম(মেসার্স রেদোওয়ান এন্টাপ্রাইজ, বগুড়া) কর্তনকৃত গাছগুলো অপসারণ করতে আসে। এসময় পরিত্যক্ত গাছসহ অকৃতনকৃত গাছগুলো তুলে দেয় খামারের উপ-পরিচালক।
এসময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি মুঞ্জুরুল আলম বলেন,
এ বিষয়ে খামারের উপপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সওজ বিভাগ খামারের জায়গা অধিগ্রহণ করেছে এবং অধিগ্রহনকৃত জায়গার অংশে প্রায় ৩৪টি বিভিন্ন প্রজাতি গাছ ছিল। আমি ঝামেলা এড়াতে কোনো টেন্ডার দিইনি। কিন্তু প্রায় ৩মাস আগে আমি হঠাৎ যখন দেখলাম,গাছগুলো কাটা হচ্ছে, অথচ আমার কাছে এ সংক্রান্ত কোন ডকুমেন্ট নেই। তখন গাছগুলোর কাটা বন্ধ করে দিয়ে ব্যবসায়ীদের নিয়ে যাওয়া গাছগুলো ফেরত আনি। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে মাধ্যমে টেন্ডার আহবানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার তাগিদ দেই। ফলশ্রæতিতে গাছগুলোর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং কার্যাদেশ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের হাতে গাছগুলো হস্তান্তর করি। এতে সরকারি কোষাগারে রাজস্ব জমা হবে।