মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া শেরপুরে পৌষের কনকনে শীতে কাপছে মানুষ।
শিশির ভেজা ও কুয়াশা জানান দিচ্ছে, শীত পড়েছে। উত্তরাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র বগুড়ার শেরপুরে এরইমধ্যে দেখা মিলছে কুয়াশার। ঘাস ভিজছে শিশিরে প্রকৃতিতে গাছে গাছে শীতের হাওয়া বইছে।
পৌষ মাস মানে শীত শীত ভাব, ঠাণ্ডা বাতাস, ঠাণ্ডা প্রকৃতির ছোঁয়া জনপদ। সকালে শীত দুপুরবেলা মিষ্টি রোদের পর বিকালে আবারো শীতের ঠান্ডায় রাতের দিকে শরীরে অনুভূত হয় শীত। রাতে ঘুমানোর সময় এই শীত নিবারনে আমরা গায়ে দেই কম্বল। এসময় মনে হয় একটু কম্বল বা কাঁথা শরীরে জড়িয়ে নেই বেশি করে তাহলেই আরাম। ১১ ই জানুয়ারি ২০২৪ রোজ বৃহ্স্পতিবার শীতের কেনাকাটায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বগুড়া শেরপুরের উত্তরাপ্লাজা মার্কেটের কম্বল বিক্রেতা আসমা ফ্যাশনের মালিক আব্দুর রহমান বলেন এবারের শীতে কম্বল বিক্রি ভালো না, গতবছর এই দিনে কম্বল বিক্রি করেছি প্রচুর ব্যবসায় ভালো লাভ করেছিলাম। এই বছরে শীতের দামি কম্বল সব পরে আছে দোকানে বিক্রি হয়নি এখনো তবে আশাকরি বিক্রি হবে। তিনি আরও বলেন আমার কাছে দেশিবিদেশী সবধরনের কমদামী থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকার দামের কম্বল আছে।
বগুড়া শেরপুরের সব মার্কেটের দোকানগুলোতে শুরু হয়েছে শীতের কাপড়, ছোটদের শীতের পোষাক, শীতের কসমেটিক্সসহ কম্বল বেচাকেনা। উত্তরাপ্লাজার মেধা কসমেটিক্স এর মালিক অভি রিমন বলেন এই শীতে কসমেটিক্স পণ্যের বিক্রিও গতবারের চেয়ে এবার কম হচ্ছে তবে এখন শীত বেড়েছে বিক্রিও বাড়বে মনে হয়। এছাড়া ও শীতের তৈরি পোষাক বিক্রেতা শেরশাহ নিউ মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডের আলো কসমেটিক্স ও আলো ফ্যাশনের মালিক আমির হোসেন বাবু বলেন শীত এবার কম তবে এখন শীত পড়ছে এখন শীতের কাপড় ও কসমেটিক্স পণ্য বিক্রি বেড়েছে।
শীতের পণ্যের কেনাকাটার জন্য শেরপুরের উত্তরাপ্লাজা মার্কেট, ডক্টরস মার্কেট,সৈয়দা মার্কেট, শেরশাহ নিউমার্কেট, জাহানারা কমপ্লেক্স, করতোয়া সুপার মার্কেট ঘুরে দেখা যায় শীতের গরম কাপড় বিক্রি ও কম্বল বিক্রির নানান চিত্র। এছাড়াও যারা বানিয়ে নেন শীতের লেপ তোষক তাদের জন্য শেরপুরের বাসস্ট্যান্ডে সকাল থেকেই কম্বল বানাতে ব্যস্ত থাকেন কারিগররা।
এবারের এই শীত মৌসুমে পৌষের শেষে মাঘের জারে বাঘে কান্দে এই কথার প্রতিফলন হলে ব্যাবসায়ীদের মন্দাভাব কাটিয়ে উঠবেন বলে ধারনা করছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।