মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
১৩ মার্চ বুধবার বিকালে এক সাক্ষাৎকারে অনলাইনে প্রশিক্ষণ নিয়ে সাফল্যের গল্পগুলো বলেন বগুড়ার শেরপুরের শ্রীরামপুর পাড়া গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলামের ছেলে মোঃ আল মুনতাকিম ইসলাম।
এসময় তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ
আসসালামুয়ালাইকুম, আমার নাম আল মুনতাকিম ইসলাম আজ আমার জীবনের একটা গল্প সেয়ার করবো।
আগেই বলে রাখি, কষ্ট করলে আল্লাহ তায়ালা কখনো কষ্ট ফিরিয়ে দেয় না। কথা টা শুরু ২০২১ তখন আমি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে একটা বই পড়ি।
চিন্তা হলো যদি আল্লাহ আমায় কম্পিউটার এর মাধ্যমে ইনকাম করার সুযোগ করে দিতো, তাহলে ভালোই হয়তো।
আমি ২০২২ এর শেষে ল্যাপটপ কিনে নিয়েছিলাম।
আমি ভিসা কাজ করতাম। তখন কিছুই বুঝতাম না।
পড়া লেখাতে মন দিলাম ২০১৬ ssc তে ভালো রেজাল্ট করলাম, ২০১৯ তে HSC এর পর ভার্সিটি কোচিং করলাম।রেজাল্ট হাল্কা খারাপ হলো। ভার্সিটি এ আর চান্স হলো না। পরিবার এর সমস্যার কারনে ভাগ্যে আর সইলো না। শেষে শাহ সুলতান সরকারি কলেজ ভর্তি হলাম। ২০২২ থেকে স্বপ্ন পুরুন এর আশায় ভর্তি হলাম, আমাদের বগুড়া একটি প্রতিষ্ঠান এ Graphic Design এ ট্রেনিং করতে। ( অনেক ভালো ও গুরুত্ব দিয়ে শেখায়)
২০২২ ট্রেনিং এর পাশেই জীবনের সফলতার আশায় Fiverr এ করি। ক ১ম অবস্থাতে ১ম পেইজ থাকলেও অসুস্থ হয়ে একাউন্ট টি হাড়িয়ে ফেললাম।
পরিবারের সমস্যা আর পিছু টান ছিলো।
তাই ট্রেনিং শেষে চলে গিলাম ঢাকা সেখানে গিয়ে একটা কোম্পানিতে কাজ করলাম।।
এর পর কিছু ভালো বন্ধু হলো। কিন্তু সফলতা আসলো না।
কষ্ট হতো অনেক ঢাকাতে, চলে আসলাম বগুড়া,
কিন্তু কিছু মানুষের তেল দেওয়ার কারনে আমার চাকুরী টা হারিয়ে গেলো। বাসায় আসলাম। আবার স্বপ্ন পুরুন করার জন্য ২০২২ এর শেষে #fiverr একাউন্ট করলাম।
#Upwork টা ২০২২থেকে চালু ছিলো।
২০২২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেলাম।
২০২৩ এর শেষে একটু আশার আলো আসলো।
শুধু মাত্র $১৫০ এর একটি অর্ডার পাই ।
এটা যে কতো বড় সফলতা ছিলো লেখে বা বলে বোঝানোর ক্ষমতা নেই আমার।
এজন্য আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই রুহুল আইটিকে।