মিন্টু ইসলাম শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরের শালফা বাজার এলাকায় ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে মিমাংসার বৈঠকে মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সোহেল রানা (৫০) কে বেদম মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় এলাকাবাসি ক্ষুব্ধ হয়ে আধা ঘন্টা সড়ক অবরোধ করেন। জানা যায়, বগুড়া শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কের শালফা বোয়ালকান্দি এলাকায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিঃ এর একটি ট্রাককে পিছন থেকে পাথর বোঝাই ট্রাক ধাক্কা দিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিসহ খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা দূর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি উদ্ধারের জন্য শ্রমিক ইউনিয়নের সড়ক সম্পাদক সোহেল রানাকে দায়িত্ব দেয়। সে অনুযায়ি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সোহেল রানা ট্রাকটি উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে যায়। খবর পেয়ে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিঃ এর লোকজন উদ্ধার কাজে বাধা দেয়। এতে দু’পক্ষের বাকবিতন্ডা হয়ে তারা সেখান থেকে সরে যায়। পরে দুপুর ১২টার দিকে সোহেল রানার শালফা বাজার এলাকায় তার অফিসে মিমাংসার জন্য বসে। মোজাহার এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিঃ এর পক্ষে সন্ত্রাসীরা দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে সোহেলকে বেদম মারধর করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেয়। এলাকাবাসি ক্ষুব্ধ হয়ে দুপুর ১টার দিকে শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কের শালফা এলাকায় আধা ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে। এ সময় শত শত গাড়ি যানজটে আটকা পড়ে। খবর পেয়ে শেরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আস্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। আহত সোহেল রানা বলেন, আমাকে যারা মারপিট করেছে তারা সকলেই সরকার দলীয় লোকজন। পদে না থাকলেও মিছিলে দেখা যায়। বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি নিন্দা জানিয়ে বলেন, অন্যায় ভাবে আমার ইউনিয়নের নেতাকে মারপিট করেছে। দ্রুত অপরাধীদের আটক করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। এ ব্যাপারে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।