মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া শেরপুরে স্বনামধন্য ডক্টরস কমপ্লেক্সে ব্যবসায়ীকে মারপিট করায় থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন অত্র মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। শেরপুর থানার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম রেজা (৩২), পিতা-আলহাজ্ব মোঃ গোলাম রব্বানী, সাং- বামুনিয়া, থানা-শাজাহানপুর, জেলা-বগুড়া শেরপুর ডক্টরস মার্কেটেরর সকল ব্যবসায়ীদের অনুমতিক্রয়ে শেরপুর থানায় উপস্থিত হইয়া বিবাদী ১। মোঃ নাজমুল হোসেন (২৬), পিতা-শরিফ কসাই, মাতা-মোছাঃ লিপি খাতুন, ২। মোছাঃ লিপি খাতুন (৩৭), পিতা-পিয়ার কসাই, ৩। মোঃ হৃদয় হাসান (২৫), পিতা- অজ্ঞাত, ৪। মোঃ স্বাধীন (২৫), পিতা-অজ্ঞাত, সকলের সাং-কসাইপাড়া, থানা-শেরপুর, জেলা-বগুড়াসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি ও মোঃ জাকারিয়া হোসেন, পিতা-আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম আকন্দ, সাং-বামুনিয়া, থানা-শাজাহানপুর, জেলা-বগুড়ায়য় শেরপুর থানাধীন ডক্টরস মার্কেটেরর ১৪৮ নম্বর রুম নিয়ে প্রায় ৮ বছর যাবৎ ওড়নার ব্যবসা করিয়া আসিতেছি। আমার দোকানের নাম “আল মদিনা ওড়না হাউজ”। অপর দিকে ২নং বিবাদী গত প্রায় চার মাস পূর্বে একই মার্কেটের ১৪৪ নম্বর রুম নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা করিয়া আসিতেছে। ২নং বিবাদী উক্ত মার্কেটে ব্যবসা শুরু করার পর থেকে মার্কেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সহিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে এবং মার্কেটেরর সকল ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও উক্ত মার্কেটের সকল ব্যবসায়ীদের নামে বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। যাহার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকবার ২নং বিবাদীকে নিয়ে মার্কেট কমিটির লোকজন শালিস দরবার করে কিন্তু ১ ও ২নং বিবাদী শালিস দরবারের কোন সমাধান মানে না। উক্ত অবস্থা চলিয়া আসাকালে অদ্য ১১/০৬/২০২৪ খ্রিঃ সন্ধ্যা অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকার সময় কলেজ ফ্যাশান নামের দোকান নম্বর ১৫৪ এর মালিক মোঃ সুমন একটি ওড়না বিক্রয়ের বিষয় নিয়ে সুমনের সহিত আমার সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। উক্ত সময় ২নং বিবাদী আমাদের মাঝে আসিয়া আমাকে দোষারোপ করে এবং আমার সহিত কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ১ ও ২নং বিবাদী আমাকে মারপিট করার জন্য উপক্রম হয় এবং বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও দেখাইয়া চলে যায়। আমি মার্কেট কমিটির লোকজনদের অবহিত করিলে তাহারা রাত ৮.০০ ঘটিকার শালিস করে সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে। ২নং বিবাদী মার্কেট কমিটির সিদ্ধান্ত তোয়াক্কা না করে একই তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.৫০ ঘটিকার সময় অন্যান্য বিবাদীদেরসহ অজ্ঞানামা আরো ৪/৫ জন ভাড়াটিয়া মাস্তান প্রকৃতির লোকজন নিয়ে হাতে ছুরি, লাঠি শোটা আমার দোকানে আসিয়া ২নং বিবাদীর হুকুমে সকল বিবাদীরা আমার দোকানের অনাধিকার দোকানের মধ্যে প্রবেশ করিয়া আমাকে এলোপাথারিভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্নস্থানে ছিলা-ফুলা জখম করে। আমাকে রক্ষার জন্য আমার দোকানের কর্মচারী মোঃ বাপ্পি (২৮), পিতা-আঃ রশিদ, সাং-আমইন, মেহেদী হাসান (২২), পিতা মৃত বেলাল হোসেন, সাং-খন্দকারপাড়া, উভয় থানা-শেরপুর, জেলা-বগুড়াদ্বয় আগাইয়া আসিলে বিবাদীগণ তাদেরকেও মারপিট করে জখম করে। আশে পাশের দোকান থেকে লোকজন আগাইয়া আসিলে ২নং বিবাদী আমাদের বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি প্রদান করে। সে আরো বলে যে, ২নং বিবাদীর বিরুদ্ধে কেউ কোন ধরণের কথা বললে বা তাহার বিরুদ্ধে কোন ধরণের অভিযোগ দিলে তাদের নামে ধর্ষণ ও মানহানির মামলা করিবে মর্মে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে। উক্ত ঘটনার পরে মার্কেটে আতংক ছড়িয়ে পড়িলে মার্কেট বন্ধ করে দেওয়ার হয়। আসন্ন ঈদের সামনে মার্কেট বন্ধ থাকার কারণে উক্ত মার্কেটের ব্যবসায়ীদের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়। ঘটনার বিষয়ে মার্কেটের সকল দেখিয়াছে ও শুনিয়াছে। উক্ত ঘটনার সিসি ভিডিও ফুটেজ ধারণ করা আছে। মার্কেট কমিটির লোকজনের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল। অতএব, মহোদয় উপরোক্ত বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিতে আপনার সদয় মর্জি হয়। অভিযোগের সাথে সংযুক্তঃ মার্কেটের সকল ব্যবসায়ীদের গনস্বাক্ষরের কপি দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে ডক্টরস কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিপ্লব দত্তের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের মার্কেটের নিরাপত্তা ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার স্বার্থে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। থানা থেকে বলছে আপনারা ঈদের ব্যবসা ভালোভাবে করেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন সবসময়ই সুন্দর পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারি এজন্য সকলের সহযোগিতা চাই। এব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিই ফোন রিসিভ করেনি।