মিন্টু ইসলাম শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ঈদুল আযহা কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে বগুড়ার শেরপুরে প্রায় ৩শ কোটি টাকার পশু প্রস্তুত থাকলেও কোরবানির গরু বিক্রি নিয়ে খামারিরা শঙ্কায় আছেন, তেমনি দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ক্রেতারাও। কারণ হিসেবে এ বছর গো-খাদ্যের দাম অত্যাধিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কোরবানি পশু প্রস্তুতকরণে ব্যায় বেশী হয়েছে। অপরদিকে গত ২ বছরে করোনায় লকডাউনে কৃষিখাতসহ ব্যবসা বাণিজ্যে অর্থনৈতিকভাবে ঘাটতি থাকায় অধিকদামে পশু ক্রয় করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ক্রেতারা। জুলাই মাসের ১০ তারিখে পবিত্র ঈদ উল আযহা উৎসব শুরু হবে, এখন পুরোদমে শেরপুরের কোরবানির হাট শুরু হয়েছে। বগুড়ার শেরপুরে এবার কোরবানীর জন্য ২৭ হাজার ৮শ ৫১ টি পশুর চাহিদা থাকলেও ৫ হাজার ৪শ জন খামারী কোরবানির জন্য ১৭ হাজার ২৯২ টি ষাড়, ৫ হাজার ৯৫৪ টি বলদ, ৩ হাজার ৯৩৬ টি গাভি, ৮২ টি মহিষ, ১১ হাজার ৩৭৯ টি ছাগল, ২ হাজার ৫৩৬ টি ভেড়া প্রস্তুত করেছেন। যা চাহিদাকে ছাড়িয়ে ১৩ হাজার ৩২৯ টি পশু বেশী প্রস্তুত রয়েছে।
জানা যায়, শেরপু পৌর শহরের বারোদুয়ারী, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর ও ছোনকা, বিশালপুর ইউনিয়নের জামাইল, কুসুম্বী ইউনিয়নের বেলঘড়িয়া, খামারকান্দি ইউনিয়নের খামারকান্দি এছাড়াও আরো কিছু এলাকায় কোরবানী উপলক্ষে পশুর হাট বসেছে। এ সকল হাটে নিয়মিত পশু ক্রয় বিক্রয় চলছে। তাই শেরপুরের খামারীরা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারে কোরবানি উপযোগী পশু লালন পালন করে লাভের আশা করছেন। খামারীরা দেশী জাতের প্রচুর গরু লালন পালন করেছেন। নিজেদের খামারের গরু, ছাগল, ভেড়াসহ কোরবানির প্রাণী হাটে তোলার জন্য ব্যস্ত রয়েছেন তারা। এদিকে বগুড়ার হাটগুলোকে কেন্দ্রে করে মৌসুমী গরুর ব্যাপারীদের আনাগোনা বেড়েছে। গরুর ব্যবসায়ীরা এক জেলা থেকে অন্য জেলার হাটে গরু বিক্রি করে থাকেন। আসন্ন ঈদুল আজহায় প্রাণী সম্পদ ক্রয় বিক্রয় বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রায়হান পিএএ জানান, শেরপুর উপজেলায় ৫ হাজার ৪শ জন খামারি ৪১ হাজার ১৮০টি পশু প্রস্তুত করেছেন। গত বছর ২৭ হাজার পশু কোরবানি হলেও এবার লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৮৫১ টিপশু। সেক্ষেত্রে ১৩ হাজার ৩২৯ টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। তাছাড়া এ বছর শেরপুর উপজেলায় কোরবানির হাটে প্রায় ৩শ কোটি টাকা কেনাবেচা হবে বলে আমি আশা করছি। এছাড়াও কোরবানী পশুর সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য উপজেলার ছোট বড় সকল হাটে প্রানী সম্পদ অফিসের ৬টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করছেন।